ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল রাজস্থান রয়্যালস। চতুর্থ উইকেটে অনবদ্য পার্টনারশিপ সঞ্জু স্যামসন ও ধ্রুব জুড়েলের। লখনউয়ের মাঠে ৭ উইকেটের বড় জয়। অথচ টপ অর্ডার ব্যর্থতায় প্রবল চাপে ছিল রাজস্থান। লখনউয়ের মাঠে এই জয়ে প্লে-অফের দৌড়ে এক পা বাড়িয়ে রাখলেন সঞ্জুরা। ম্যাচের নায়ক নিঃসন্দেহে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। চাপের মুখে দুর্দান্ত ইনিংস। লখনউকে অস্বস্তিতে ফেলে তাঁদের ফিল্ডিংও।
এ মরসুমের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল রাজস্থান রয়্যালস। একটিই মাত্র ম্যাচ হেরেছে তারা। ঘরের মাঠে সেই হারের ভাষা হারিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। শেষ বলে সেই হার মেনে নিতে পারেননি। তবে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন পরের ম্যাচ থেকেই। আর পিছন ফিরে তাকায়নি রাজস্থান। লখনউয়ের বিরুদ্ধে বিশাল রানের টার্গেট ছিল তাদের। ক’দিন আগে ইডেনে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতলেও লখনউয়ের পিচে ১৯৭ রানের টার্গেট সহজ ছিল না। চতুর্থ উইকেট জুটিই সব সহজ করে দিল।
লোকেশ রাহুলের ৭৬ এবং দীপক হুডার হাফসেঞ্চুরি। রাজস্থানকে ১৯৭ রানের টার্গেট দিয়েছিল লখনউ। আইপিএলের বাকি ভেনুর তুলনায় এই মাঠ বড়। রাজস্থানের ৬০ রানের মধ্যে দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও জস বাটলারকে ফিরিয়ে চাপে ফেলে লখনউ। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার রিয়ান পরাগও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ। রান তাড়া ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছিল। লখনউয়ের ক্যাচ মিস, গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও বেশ কিছু মিস ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় লখনউকে।
সঞ্জু স্যামসন এবং ধ্রুব জুড়েল কিছুটা সময় নেন থিঁতু হতে। শুরুটা টেস্টের মতো করলেও ক্রমশ টি-টোয়েন্টির মেজাজে ফেরেন। বিশ্বকাপের দল বাছাইয়ের আগে পরিণত ইনিংসে সঞ্জু নিজের দাবি জোরালো করলেন। শেষ অবধি ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন রাজস্থান ক্যাপ্টেন। চতুর্থ উইকেটে ৬২ বলে ১২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ধ্রুব জুড়েল ৫২ এবং সঞ্জু ৩৩ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন।