হায়দরাবাদের এমন হার হয়তো কেউই কল্পনা করেননি। তাও আবার যে টিমটা চলতি আইপিএলে টানা হাফডজন ম্যাচে হেরেছে, সেই আরসিবির কাছে। ক্রিকেট বড়ই অনিশ্চয়তার খেলা। এই জন্যই এমনটা বলা হয়। এ বারের আইপিএলে হায়দরাবাদ এমন একটা টিম যারা সর্বাধিক রানের রেকর্ড গড়েছিল। নিজেদের করা সর্বাধিক রানের রেকর্ডও ভেঙেছিল। সেই তারাই আজ ঘরের মাঠে আরসিবির কাছে আটকে গেল। নিজেদের ঘরের মাঠে বিরাটরা প্রথম লেগে যা পারেননি, সেটাই এ বার অ্যাওয়ে ম্যাচে করে দেখাল আরসিবি। মাসের ২৫ তারিখের সঙ্গে যেন আরসিবির বিশেষ কানেকশন রয়েছে। পাক্কা এক মাস পর এ বারের আইপিএলে দ্বিতীয় জয় পেলেন বিরাট-ফাফরা। ২৫ মার্চ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে আরসিবি জিতেছিল। এ বার ২৫ এপ্রিল মরসুমের দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেল আরসিবি।
আরসিবির ব্যাটিং অন্যান্য ম্যাচের মতো হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও ভালোই হয়েছে। হাফসেঞ্চুরি করেছেন বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার। ক্যাপ্টেন ফাফের ২৫ রান। ক্যামেরন গ্রিনের ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংস। সব মিলিয়ে আরসিবি তোলে ২০৬ রান। তবে আরসিবির বোলিং নিয়ে আজ বলতেই হবে। কারণ প্যাট কামিন্সের হায়দরাবাদের কাছে ২০৭ রানের টার্গেট আহামরি ব্যাপার নয়। কিন্তু হায়দরাবাদের টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারকে আজ কার্যত রানই তুলতে দেননি করণ শর্মা, স্বপ্নিল সিংরা। ঘরের মাঠে মহম্মদ সিরাজও আটোসাঁটো বোলিং করার চেষ্টা করেছেন।
বিরাটের টিমের তরুণ তুর্কি উইল জ্যাকস ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে পারেননি। কিন্তু হায়দরাবাদের প্রথম ওভারেই তুলে নেন বিধ্বংসী ফর্মে থাকা ওপেনার ট্রাভিস হেডের উইকেট। ১ রানে ফেরেন হেড। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে অরেঞ্জ আর্মির ৪ ক্রিকেটারকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখায় আরসিবি। হেডের পর আগুনে ছন্দে থাকা অভিষেক শর্মাকে ফেরান যশ দয়াল। ১৩ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন অভিষেক। দুই ওপেনার ফিরলেও হায়দরাবাদের অনুরাগীদের নজর ছিল এইডেন মার্কব়্যাম, হেনরিখ ক্লাসেনদের দিকে। কিন্তু স্বপ্নিল সিং পাওয়ার প্লে-র মধ্যে মার্কব়্যাম (৮ বলে ৭ রান) ও ক্লাসেনকে (৩ বলে ৭ রান) ফেরান।
১০ ওভারের মধ্যে আরও ২টি উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। নীতীশ কুমার রেড্ডিকে (১৩) ফেরান করণ শর্মা। তারপর তিনি আব্দুল সামাদকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন। ৩ ওভার পর হায়দরাবাদকে আরও ঝটকা দেন ক্যামেরন গ্রিন। অরেঞ্জ আর্মির ক্যাপ্টেন কামিন্সের ব্যাটিংয়ের হাত বেশ ভালো। কিন্তু ১৪তম ওভারে গ্রিন তুলে নেন কামিন্সের উইকেট। ১৫ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন কামিন্স। এক প্রান্ত থেকে উইকেট পড়তে থাকলেও শাহবাজ আহমেদ ক্রিজে টিকে ছিলেন। শেষ অবধি ৩৭ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। সঙ্গে ৮ রানে নট আউট ছিলেন জয়দেব উনাদকাট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭১ রান তোলে হায়দরাবাদ। যার ফলে ৩৫ রানের ব্যবধানে জিতল আরসিবি।