রশিদ আতঙ্ক কাটিয়ে শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় দিল্লির

আরও একটা অবিশ্বাস্য জয়ের সাক্ষী ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। শেষ বল অবধি টানটান উত্তেজনা। বোর্ডে ২২৫ রানের টার্গেট। শুরুতেই ক্যাপ্টেনের উইকেট হারানো। এরপরও মাত্র ৪ রানে হার গুজরাট টাইটান্সের। দিল্লি জিতলেও তাদের বোলিং এবং অবশ্য ফিল্ডিংয়ের একটা বড় অংশ প্রশ্ন তুলে দিল। ব্যাটার-ক্যাপ্টেন-কিপার ঋষভের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স। সঙ্গী অক্ষর প্যাটেল ও বোলিংয়ে কুলদীপ যাদব। তারপরও কষ্টার্জিত জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের।

অক্ষর, ঋষভ এবং ত্রিস্তান স্টাবসের অনবদ্য ব্যাটিং দিল্লিকে অ্যাডভান্টেজ রেখেছিল। রান তাড়ায় শুরুতেই ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের উইকেট হারায় টাইটান্স। তবে ঋদ্ধিমান সাহা এবং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা সাই সুদর্শন ম্যাচে রাখে টাইটান্সকে। কুলদীপ যাদবের অনবদ্য বোলিং দিল্লিকে সাময়িক ম্যাচে ফেরায়। শেষ চার ওভারে ৭৩ রানের টার্গেট টাইটান্সের। ১৭তম ওভারে অনরিখ নর্টজের বোলিংয়ে ২৪ রান তোলেন ডেভিড মিলার। মাত্র ২১ বলেই হাফসেঞ্চুরিতে। বলা হচ্ছিল, সিএসকের বিরুদ্ধে মার্কাস স্টইনিস যে অভাবনীয় ইনিংস খেলেছেন, মিলারও কি পারবেন?

উল্টোদিকে ছিলেন রশিদ খান। এই জুটি ভাঙতে পারলে দিল্লির চাপ কমত। পরের ওভারে মুকেশ কুমারের বোলিংয়ে রশিদ খানের ক্যাচ ফসকান অভিষেক পোড়েল। শূন্য রানে রশিদের ক্যাচ ফসকানো যে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল না। স্ট্রাইকে আসেন মিলার। আর স্ট্রাইক পেয়েই সেই বিধ্বংসী মেজাজে। ১৮ তম ওভারের তৃতীয় বলে মিলারের উইকেট নিতেই উৎসব শুরু দিল্লি শিবিরে। ২৩ বলে ৫৫ রানে ফেরেন মিলার।

শেষ ২ ওভারে ৩৭ রানের টার্গেট। রশিদ খান থাকায় তখনও ম্যাচ পুরোপুরি দিল্লির দখলে বলা যায়নি। এর আগে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য ইনিংসে জিতিয়েছিলেন রশিদ। ১৯তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে ত্রিস্তান স্টাবসের অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং। ৫ রান বাঁচান স্টাবস। সাই কিশোর জোড়া ছয় মেরে আবারও দিল্লিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। শেষ বলে সাইকে বোল্ড করেন রশিদ।

স্ট্রাইকে রশিদ খান। শেষ ওভারে টাইটান্সের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ম্যাচ পুরোপুরি কারও পক্ষে নয়। হার-জিতের মাঝে রশিদ খান। মুকেশ কুমারকে বাউন্ডারিতে স্বাগত জানান রশিদ। পরের বলেও বাউন্ডারি। তৃতীয় বলে কোনও রান না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি। স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখতেই রান নেননি রশিদ। তিন বলে ১১ রান অসম্ভব নয়। চতুর্থ বলেও রান না নেওয়ায় এরপর টাইটান্স তথা রশিদের কাছে দুটো ছয় মারা ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না। একটি ছয় মেরে সেই প্রত্যাশাই জাগিয়ে তোলেন। শেষ বলে ছয় মারলে জয়, বাউন্ডারি হলে সুপার ওভার। দুটোর কোনওটাই হয়নি। মাত্র ৪ রানের জয়ে স্বস্তি দিল্লি শিবিরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =