পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তাদের বিরুদ্ধে ক্যাচ মিস করলে ভুগতে হবে, এ আর নতুন কী! সেটাই হল। ওয়াংখেড়েতে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অ্যাওয়ে ম্যাচেও একই ফল। প্রথম লেগে ছিলেন না সূর্যকুমার যাদব। এই ম্যাচে স্কাই থাকলেও কোনও লাভ হয়নি। ব্যাটিংয়ে পাওয়ার দেখা গেল না, বোলিংয়েও তাই। তার ওপর ক্যাচ মিস। এ বারের আইপিএলে ফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। জয়পুরেই দেখা মিলল জ্যাজবলের।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম লেগের ম্যাচে মুম্বইকে ব্যাটিংকে খাবি খাইয়েছিলেন দুই বাঁ হাতি পেসার জস বাটলার ও নান্দ্রে বার্গার। দ্বিতীয় লেগে বোল্ট এবং চোট সারিয়ে ফেরা সন্দীপ শর্মা। প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মার উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। দ্বিতীয় ওভারে সন্দীপ শর্মার অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে খোঁচা মেরে শূন্য হাতে ফেরেন আর এক ওপেনার ঈশান কিষাণও। এরপরও বোর্ডে ৯ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই তরুণ ব্যাটার তিলক ভার্মা এবং নেহাল ওয়াদেরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তিলক ৪৫ বলে ৬৫ রান করেন। নেহাল করেন ২৪ বলে ৪৯ রান। যদিও লোয়ার অর্ডারে কেউ ভরসা দিতে পারেননি। ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়ার অবদান ১০ বলে ১০ রান। জবাবে পাওয়ার প্লে-তেই বিনা উইকেটে ৬১ রান তুলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। পাওয়ার প্লে-র পরই বৃষ্টির কারণে ৩০ মিনিটের বৃষ্টি বিরতি। তারপর মেলে বাটলারের উইকেট। তাতেও সমস্যা মেটেনি মুম্বইয়ের।
মরসুমের প্রথম হাফসেঞ্চুরির পরই অস্বস্তিতে পড়েন যশস্বী জয়সওয়াল। বাউন্ডারি লাইনে তাঁর ক্যাচ ফেলেন নেহাল ওয়াদেরা। বাউন্ডারিও হয়। এরপর আর তাঁকে রোখা যায়নি। ৫৯ বলে আইপিএল কেরিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে পৌঁছন যশস্বী জয়সওয়াল। কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেই। দ্বিতীয়টিও। তাঁর ব্যাটে এল রাজস্থানের উইনিং রানও। ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয়।