অল্পের জন্য় ‘অর্জুন’ হয়ে উঠছিলেন করণ শর্মা। যদিও ২৫ কোটির স্টার্ক এবং ফিল সল্টের অনবদ্য রান আউট শেষ বলে ঘাম ঝরানো জয় উপহার দিল কেকেআরকে। মাত্র ১ রানে জয়! এর থেকেই পরিষ্কার কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে। ম্যাচে কেকেআর-শিবিরে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন মিচেল স্টার্ক। শেষ ওভারেও আতঙ্ক বাড়িয়েছিলেন। তবে জয়ে ভূমিকা রইল তাঁরও। গত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস ইডেনেই ২২৪ রান তাড়া করে জিতেছিল। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়ার সামনে থেকে ফিরল রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
টানা ছয় ম্যাচে হার আরসিবির। এখান থেকে প্লে-অফের দৌড় কার্যত শেষ বিরাট কোহলিদের। ইডেন গার্ডেন্সের ক্রিকেট প্রেমীরা রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ দেখার সুযোগ পেলেন। যদিও বিরাটের ব্য়াটে বড় ইনিংস দেখা হল না। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের হাফসেঞ্চুরি, ফিল সল্টের বিধ্বংসী ব্যাটিং। রিঙ্কু, রাসেল, রমনদীপদের ক্যামিওতে বোর্ডে ২২২ রান তোলে কেকেআর। যদিও গত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের জয়ের পর এই রান সুরক্ষিত বলা যায়নি।
শুরুতে বিরাট কোহলির উইকেট হারায় আরসিবি। তাঁর পিছু নেন ফাফ ডুপ্লেসিও। উইল জ্যাকস এবং রজত পাতিদারের হাফসেঞ্চুরি আরসিবিকে ম্যাচে রাখে। শেষ চার ওভারে মাত্র ৪২ রানের টার্গেট দাঁড়ায়। দীনেশ কার্তিকের মতো ফিনিশার থাকায় ম্যাচ তখনও আরসিবির নিয়ন্ত্রণেই। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে ফেরেন কার্তিক। স্বস্তি ফেরে কেকেআর শিবিরে। তবে শেষ ওভারে কেকেআরের আতঙ্ক বাড়ায় করণ শর্মা।
শেষ ওভারে ২১ রানের টার্গেট দাঁড়ায় আরসিবির। প্রথম চার বলের মধ্যে মিচেল স্টার্ককে তিনটি ছক্কা মারেন করণ। ২ বলে ৩ রান পরিস্থিতি কঠিন ছিল না। পঞ্চম বলে নিজের বোলিংয়ে নিজেই ক্যাচে ফেরান করণকে। ক্রিজে আসেন লকি ফার্গুসন। ২ রান নিলেই সুপার ওভার। গ্যাপে খেলে ২ রান নিতে গিয়েছিলেন। রমনদীপের অনবদ্য থ্রোয়ে ফিল সল্টের অবিশ্বাস্য রান আউট। মাত্র ১ রানের ঘাম ঝরানো জয়ে বিশাল স্বস্তি কেকেআর শিবিরে।