নতুন মেট্রোরুট চালু হতেই লঞ্চে কমেছে যাত্রী, বিকল্প রুটে ফেরি চালানোর উদ্যোগ

হাওড়া ময়দান থেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মেট্রো চালু হতেই একধাক্কায় যাত্রী কমল ফেরি সার্ভিস ও কিছুটা হলেও বাসে। প্রবল গরমে হাওড়া স্টেশনের ভেতর থেকেই এসি মেট্রো চাপার ব্যবস্থা। তার ওপর যানজটের বালাই নেই। মূলত মহাকরণের বহু কর্মী এই গরমের দিনে মেট্রোকে বেছে নিচ্ছে। তা ছাড়া ধর্মতলা যাওয়ার জন্যেও গরম হয়ে থাকা বাসের বদলে যাত্রীরা স্বস্তি খুঁজছেন গঙ্গার নীচ দিয়ে যাওয়া এসি মেট্রো রেকে। যার ভাড়া এসি বাসের চেয়ে কমই হচ্ছে।
আর এসেবর জেরে ভিড় কমেছে ফেরি সার্ভিসে। অগত্যা, আয়ের বিকল্প পথ তৈরি করতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি। কলকাতা ও হাওড়ার মাঝে গঙ্গার দু’পারে রয়েছে একাধিক ঘাট- গঙ্গার ঘাট, বাবুঘাট, চাঁদপালঘাট,আর্মেনিয়ান, শোভা বাজার, বাগবাজার প্রভৃতি। এগুলি থেকে বেশ কয়েকটি রুটে ফেরি সার্ভিস দেওয়া হয়। সবটাই হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির অন্তর্গত।
হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো চালু হয়ে যাওয়ায় আয় বৃদ্ধি করতে এবার বিকল্প রুটে লঞ্চ চালানোর ভাবনা করছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি।
সমিতির চেয়ারম্যান রাইচরণ মান্না বলেন, ‘হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চালু হয়ে যাওয়ায় আমাদের ফেরি সার্ভিসে যাত্রী অনেকটাই কমেছে। তাই বিকল্প রুট হিসেবে হাওড়া থেকে কাশীপুর পর্যন্ত লঞ্চ চালানো শুরু হবে। চলবে পণ্য পরিবাহী লঞ্চও। এজন্য আমরা ১৯টি লঞ্চ নতুন করে সংস্কার করছি।’
গত মার্চেই হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির নতুন বোর্ড গঠন হয়েছে। তারপরই ফেরি সার্ভিসকে আরও আর্কষণীয় করার একাধিক উদ্যোগ নেন বোর্ডের সদস্যরা। সেই পরিকল্পনার মধ্যে ছিল হাওড়া-কলকাতা ফেরি সার্ভিসও। তার মাঝেই চালু হয়ে যায় হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড মেট্রো। ফলে ফের নতুন করে পরিকল্পনা তৈরি করতে হয় হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতিকে।
সমিতির এক সদস্যর কথায়, ‘জলপথের চেয়ে মেট্রোয় অনেক দ্রুত পৌঁছানো যায়। ফলে মানুষ মেট্রো পরিষেবাকে বেছে নিয়েছেন। তাই যে সব রুটে জলপথ নেই, অথচ চাহিদা রয়েছে এমন রুটগুলিতে লঞ্চ চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − six =