লখনউয়ের বিরুদ্ধে প্রচন্ড গরমেও সলিড সল্ট, জয়ী কেকেআর

লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে এক তরফা পরিসংখ্যান ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। তবে সেটা নেতিবাচক। এর আগে তিন বার মুখোমুখি হয়েছিল দু-দল। তিন বারই জয়ের হাসি লখনউ শিবিরে। গম্ভীর লখনউ থেকে কেকেআরে ফিরতেই পরিসংখ্যান বদলে গেল। প্রথম বার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে জিতল কেকেআর। বাংলা নববর্ষ জয়ের ‘হালখাতা’ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রচন্ড গরমেও গললেন না সল্ট। বরং তাঁর সলিড ইনিংসই কেকেআরকে সহজ জয়ে নেট রানরেটও বাড়িয়ে নিতে সাহায্য করল।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। এ বারের আইপিএলে প্রথম চার ম্যাচই রাতের ছিল কেকেআরের। আজ ডে-ম্যাচে টস যে খুব একটা ফ্যাক্টর হবে না, আন্দাজ করেছিলেন শ্রেয়স। রান তাড়াই শ্রেয় মনে করেন। তাঁর ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পরিস্থিতি সহজ করেন কেকেআর বোলাররা। বিশেষ করে বলতে হয় মিচেল স্টার্কের কথা। প্রবল সমালোচনার মুখে থাকা এই বাঁ হাতি অজি পেসার অনবদ্য বোলিংয়ে তিন উইকেট নেন। কেকেআরের টার্গেট ছিল ১৬২ রান।

টার্গেট বিশাল না হলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সকে সাময়িক চাপে ফেলেছিলেন লখনউয়ের বাঁ হাতি পেসার মহসিন খান। একদিকে ওপেনার ফিল সল্ট সলিড থাকলেও আর এক ওপেনার সুনীল নারিন এবং তিনে নামা অঙ্গকৃশ রঘুবংশীকে ফেরান মহসিন খান। লখনউ শিবিরে কিছুটা আশার আলো ছিল। ম্যাচের আগের দিন সল্টের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন সামলাতে হয়েছিল গৌতম গম্ভীরকে। মেন্টরের হয়ে জবাবটা মাঠেই দিলেন ইংল্যান্ডের কিপার ব্যাটার।

ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে ১৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ফিল সল্টের। মাত্র ১৫.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফিল সল্ট ৪৭ বলে ৮৯ এবং শ্রেয়স ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − six =