ঠিক কী পরিকল্পনা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের? হার্দিক পান্ডিয়া নিজেও জানে কি? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। ২০ রানে হারের পর এককথায় বলা যায় হার্দিকের ভুলে হার মুম্বইয়ের। বুমরাকে কোন সময় ব্যবহার করতে হবে, তার কোনও পরিকল্পনা নেই! শেষ ওভারে বোলিং করেন হার্দিক পান্ডিয়া। দলের সেরা বোলারকে দিয়ে শুরু করাননি। শেষও করাননি। হার্দিকের শেষ ওভারে ধোনি চার বলে তোলেন ২০ রান। সেই ২০ রানেই জয় চেন্নাই সুপার কিংসের। ব্যাটিংয়েও ডুবিয়েছেন হার্দিক।
রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি। কিন্তু সেটা দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। প্রয়োজনের সময় স্ট্রাইকই পেলেন না সেট ব্যাটার! ইনিংসের শুরু থেকে শেষ অবধি একলা লড়াই হিট ম্যানের। বোর্ডে ২০৭ রানের লক্ষ্য। রোহিতের সৌজন্য়ে সবই ঠিক চলছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। শেষ পাঁচ ওভারে ম্যাচের পট পরিবর্তন! পাঁচে ব্যাটিংয়ে নামেন হার্দিক। প্রয়োজন ছিল সেট ব্যাটার রোহিতকে স্ট্রাইক দেওয়া। সেখানেই ভুল হার্দিকের।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে শার্দূল ঠাকুর মাত্র ২ রান দেন। স্ট্রাইকে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এই ওভারটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ৬ বলে ২ রান করে ফেরেন হার্দিক। চাপ বাড়তে থাকে। ১৬ তম ওভারে তুষার দেশপান্ডে ৩ রান দেন। স্লোয়ারে বিব্রত করছিলেন। উল্টোদিকে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী না থাকলে ম্যাচ জেতানো কঠিন। রোহিতের ক্ষেত্রে তাই হল। ১৭তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান। টিম ডেভিড গিয়ার শিফ্ট করেন। পরপর দুটি ছয়। তৃতীয় বলেই ডেভিডকে ফেরান মুস্তাফিজুর। দুটি ছক্কার পরই চেন্নাইয়ের বোলিং কোচ ডোয়েন ব্র্যাভো কিছু পরামর্শ দেন জাডেজাকে। সেই বার্তা মুস্তাফিজুরকে পৌঁছে দেন জাড্ডু। এরপরই উইকেট।
শেষ তিন ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৩। রোহিত ও রোমারিও শেফার্ড ক্রিজে। রোহিত স্ট্রাইকে থাকায় ভরসা ছিল মুম্বই শিবিরে। শেফার্ড আউট হতেই ফের চাপ। রোহিতের সঙ্গে যোগ দেন নবি। ১২ বলে ৪৭ প্রয়োজন ছিল মুম্বইয়ের। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজুরের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছিল। প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়ে রোহিতকে স্ট্রাইক দেন মহম্মদ নবি। শেষ বলে ছয় মেরে কিছুটা চাপ হালকা করেন। ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত হাতের বাইরে।
শেষ ওভারে মুম্বইয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪। ম্যাচ ততক্ষণে কার্যত শেষ। রোহিত শর্মা ৬৩ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ পাঁচ ওভারে আরও কয়েকটা বল স্ট্রাইক পেলে, রোহিত হয়তো ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতেন।