বছরের শেষ দিনের বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত দমদমের ছাতাকল এলাকার এক ঝুপড়ি। চোখের নিমেষে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। দমকলকর্মীদের ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিভলেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত সাদা ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। অন্যদিকে, আগুনের খবর পেয়েই পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তিনি।
শনিবার দুপুরে এই আগুন লাগলো কী ভাবে , তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই পর পর বিস্ফোরণের শধ পাওয়া গিয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে অনুমান। বিস্ফোরণের কারণে আগুনের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের গ্রাসে চলে যায় বস্তির একাধিক ঘর। স্থানীয়দের কথায়, ওই ঝুপড়ির ১৩০টি ঘর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে শতাধিক ঝুপড়িই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মাথার উপর ছাদ হারিয়েছেন অনেকে। কোথায় থাকবেন, কী হবে; সেই সব প্রশ্নই ঘুরছে বস্তির বাসিন্দাদের মনে। সর্বস্ব হারিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
স্থানীয়দের কথায়, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ঝলসে গিয়ে বেশ কিছু গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার ঘটনা নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। বস্তির অদূরে বড় রাস্তা থেকেই পাইপলাইনের মাধ্যমে জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করতে হয় দমকলকর্মীদের। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এলাকায় ছিলেন দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় এবং সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। সুজিত বলেন, ‘আমি খবর পেয়েই এলাকায় এসেছি। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের।’ পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন সৌগত। তিনি বলেন, ‘দমকল তাদের মতো কাজ করেছে। আগুনে অনেকের ক্ষতি হয়েছে। অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে সরকারের তরফ থেকে।’ আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন সুজন।