নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ঘর ঘর, খট খট। নববর্ষের ক্যালেন্ডার তৈরি হচ্ছে দিনরাত। প্রতিদিন প্রোডাকশন প্রায় ২০০০ পিস। বাঁকুড়ার পাটপুরের নিয়োগী পরিবার নিজেদের বাড়িতে তৈরি করছেন নববর্ষের ক্যালেন্ডার।
বাড়িতে ঢুকেই চোখে পড়বে ব্যস্ততা। গোটা মেঝেতে ছড়িয়ে রয়েছে ক্যালেন্ডার। একের পর এক ক্যালেন্ডারে লাল কালি দিয়ে প্রিন্ট করে চলেছেন পরিবারের কর্তা স্বরূপ নিয়োগী। সাহায্য করছেন তাঁর মেয়ে এবং স্ত্রী। প্রায় ন’ বছর ধরে এই কাজ করছে নিয়োগী পরিবার। বছরের শুরুতে এবং নববর্ষের সময় থাকে ক্যালেন্ডারের বিশেষ চাহিদা এবং সেই কারণেই এই কর্ম ব্যস্ততা। কলকাতার থেকে ক্যালেন্ডার তৈরি হয়েই আসে। অর্ডার মারফত ক্যালেন্ডারে বিজ্ঞাপন প্রিন্ট করেন স্বরূপ নিয়োগী।
এছাড়াও স্বরূপ নিয়োগী জানান, বাংলা ক্যালেন্ডারে লক্ষী-গণেশের চাহিদা বিপুল। মা-মেয়েতে সমান ভাবে কাজ করে চলেছেন। স্বামী স্বরূপ নিয়োগীর সঙ্গে প্রায় ৯ বছর এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রীতা নিয়োগী। তিনি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর রামচন্দ্র এবং রাম মন্দিরের ছবি লাগানো ক্যালেন্ডারের বিশেষ চাহিদা রয়েছে।
ক্যালেন্ডার বিক্রেতা সোমনাথ মণ্ডল জানালেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় ক্যালেন্ডার কেনার ঝোঁক কমেছে মানুষের। চিরাচরিত ভাবে দেব দেবীর ছবি লাগিয়ে নীচে তারিখ ঝোলানো ক্যালেন্ডার বেশি পছন্দ করছে মানুষ। তিনি আরও জানান যে, নতুনত্ব মডেল চালু হলেও সে সবের অস্তিত্ব আর নেই। দেব দেবীতেই সন্তুষ্ট হয়েছেন দিনপঞ্জির ক্রেতারা।
নববর্ষ মানেই নতুন ক্যালেন্ডার। ক্যালেন্ডারে সঙ্গে জড়িয়ে আছে নস্টালজিয়া। শিশু মনে ক্যালেন্ডার শেখার ইচ্ছা থেকে শুরু করে বড় হয়ে বাড়িতে ক্যালেন্ডার নিয়ে আসা পর্যন্ত, পয়লা বৈশাখের সময় ক্যালেন্ডারের চাহিদা বরাবরই থাকে। সেই চাহিদা পূরণের জন্যই বাঁকুড়া শহরের পাটপুরের নিয়োগী পরিবার কাজ করে চলেছেন পুরোদমে।