বৃষ্টি, ব্রেক এবং কুলদীপ সেনের সেনশনাল বোলিং। ঋদ্ধিমান সাহা এবং ডেভিড মিলারের চোটে গুজরাট টাইটান্সের কম্বিনেশন ভারসাম্য হারিয়েছে। বেশ কিছু ক্যাচ মিস। রাজস্থান রয়্যালস ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন এবং রিয়ান পরাগের অনবদ্য ব্যাটিং। তৃতীয় উইকেটে ৭৮ বলে ১৩০ রান যোগ করে এই জুটি। এ মরসুমে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল রাজস্থান। তাদের বিরুদ্ধে ছন্দহীন গুজরাট টাইটান্সের টার্গেট ছিল ১৯৭। শুভমন-সাই সুদর্শনের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬৪ রান। এর পরই ম্যাচের রং বদলে দেন কুলদীপ সেন। কিন্তু শেষ ওভারে চূড়ান্ত নাটক অপেক্ষা করছিল। ঘরের মাঠ এবং মরসুমের প্রথম হার রাজস্থানের। সৌজন্যে রশিদ খান।
টাইটান্স ইনিংসের নবম ওভারে আক্রমণে তরুণ পেসার কুলদীপ। দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই জুটি ভাঙেন। নিজের দ্বিতীয় ওভার শুরু করেন ম্যাথু ওয়েডের উইকেটে। ম্যাচের আগে বৃষ্টি হয়েছিল। তেমনই টাইটান্স ইনিংসের মাঝপথে। বৃষ্টি ব্রেকের পর একাদশ ওভারে জোড়া উইকেট নেন কুলদীপ। ৬৪-০ থেকে অল্প সময়ের ব্য়বধানে ৭৯-৩ টাইটান্স। অনবদ্য ব্যাটিং শুভমন গিলের। উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়লেও ক্যাপ্টেন শুভমন দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলেন। যদিও ম্যাচ ফিনিশ করে আসতে পারেননি।
শেষ চার ওভারে গুজরাট টাইটান্সের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৯ রান। রাহুল তেওয়াটিয়া এবং শাহরুখ খানের মতো বিগ হিটার ক্রিজে থাকায় আশা ছিল গুজরাট টাইটান্সের। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয় শাহরুখকে। ১৮তম ওভারে শাহরুখকে ফিরিয়ে রাজস্থানকে ভরসা দেন আবেশ খান। লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন। ২ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫ রান। রশিদ খান-রাহুল তেওয়াটিয়া ক্রিজে। ম্যাচ যে কোনও দিকেই যেতে পারত।
ইনিংসের ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে কুলদীপ সেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওভারে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারলেন না কুলদীপ। ওয়াইড, নো, ইয়র্কার দিতে গিয়ে লো ফুলটস। সব মিলিয়ে ২০ রান। শেষ ওভারে ১৫ রান লক্ষ্য দাঁড়ায় গুজরাট টাইটান্সের। স্লো-ওভার রেটের জন্য সার্কেলের বাইরে মাত্র তিন ফিল্ডার। আবেশ খানের প্রথম ডেলিভারিতেই ডিপ মিড উইকেটে বাউন্ডারি মারেন রশিদ খান। পরের বলে ২ রান। তৃতীয় বলটি দুর্দান্ত হলেও বাউন্ডারিতে পাঠান রশিদ খান।
শেষ ২ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল গুজরাটের। স্ট্রাইকে রাহুল তেওয়াটিয়া। তৃতীয় রান সম্পূর্ণ করতে পারেননি। রান আউট রাহুল তেওয়াটিয়া। শেষ বলে ২ রান। রশিদ স্ট্রাইকে। সিঙ্গল হলে সুপার ওভার! যদিও বাউন্ডারি মেরে গুজরাটকে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দেন রশিদ খান। বল হাতে রাজস্থানকে চাপে ফেলেছিলেন, ব্যাট হাতেও জয়ের নায়ক রশিদই।