শুরুতে ধাক্কা, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো। সানরাইজার্সের বোর্ডে ১৮২ রানের পুঁজি। একঝাঁক ক্য়াচ মিস। তেমনই চোখ ধাঁধানো কিছু ক্যাচ। কখনও সানরাইজার্স এগিয়ে, কখনও পঞ্জাব। চূড়ান্ত স্নায়ুর চাপের লড়াই। তবে রিঙ্কু সিং হয়ে উঠতে পারলেন না পঞ্জাবের দুই তরুণ ব্য়াটার। পরিস্থিতির সঙ্গে দারুণ মিল। গত বারের আইপিলে আজকের দিনেই গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচ ছক্কায় অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল কেকেআর। পঞ্জাবেরও লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯।
পুরো ম্যাচের পরিস্থিতি এক পাশে থাক। শেষ দু ওভারে পঞ্জাব কিংসের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯ রান। ক্রিজে শশাঙ্ক সিং। গত ম্যাচে তাঁর ব্যাটেই অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল পঞ্জাব কিংস। ১৯ তম ওভারে বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি চাপে নটরাজন। এই ওভারের উপরই অনেক কিছু নির্ভর করত। শশাঙ্কের সঙ্গে দুর্দান্ত সঙ্গ দিলেন আর এক অনামী আশুতোষ শর্মা। ৯১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছিল পঞ্জাব কিংস। যদিও শশাঙ্ক ক্রিজে থাকায় ক্ষীণ হলেও আশা ছিল। আর আজকের দিনেই তো রিঙ্কু সিংয়ের সেই অবিশ্বাস্য ইনিংসের ঘটনা হয়েছিল।
শশাঙ্ক সিংয়ের কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ ছিল প্রমাণ করার। তিনি ওয়ান ম্যাচ ওয়ান্ডার নন। তবে ১৯ তম ওভারে নটরাজনের বোলিংয়ে মাত্র ১০ রান আসায় চাপ বাড়ে পঞ্জাব শিবিরে। শেষ ওভারে ২৯ রান হয়তো বিশাল লক্ষ্য নয়, কিন্তু উল্টোদিকে বোলিংয়ে জয়দেব উনাদকাটের মতো পোড়খাওয়া পেসার। প্রথম ডেলিভারিই স্নায়ুর চাপ বাড়িয়েছিল পঞ্জাব শিবিরে। ডিপ মিডউইকেটে নীতীশ রেড্ডি লাফালেও ক্যাচ নিতে পারেননি। উল্টে ছয় হয়। উনাদকাট পরপর ওয়াইড দিতেই ধরা পড়ে, আসলে চাপে অভিজ্ঞ পেসারই।
দ্বিতীয় লিগ্যাল ডেলিভারিও বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচের পরিস্থিতি থেকে ছয়। বল হাতে লেগেছিল। পরের বলে ডাবল নিয়ে স্ট্রাইক রাখেন আশুতোষ। তিন বলে ১৩ রান। ফের ডাবল। এ বার পরিষ্কার পরিস্থিতি জোড়া ছয় চাই। একটি ছয় ও চার হলে সুপার ওভার! ওয়াইড দিয়ে নিজেদের চাপ বাড়ান উনাদকাট। পরের বলে রাহুল ত্রিপাঠী ক্যাচ ড্রপ করলেও ১ বলে ৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। শেষ অবধি মাত্র ২ রানে জয় সানরাইজার্সের।