নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে পূর্ব বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় একতরফা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন সিপিএম প্রার্থীর সমর্থনে। সিপিএম-কংগ্রেস খাতায় কলমে জোট, একতরফাই প্রচারে কংগ্রেস কর্মী নেতাদের হতাশা কাটছে না বলে দাবি।
কংগ্রেস নেতাদের দাবি, জোট হলেও সিপিএমের মিছিল, মিটিংয়ে দেখা মিলছে না ত্রিরঙা পতাকা থেকে কংগ্রেস নেতা কর্মীদের। জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি,গোটা জেলা থেকেই কংগ্রেস কর্মীরা এব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। তাই তিনি সিপিএম জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছেন। সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন প্রচারে অবশ্যই কংগ্রেস কর্মী, নেতাদের ডাকা হবে। সোমবার প্রবীরবাবু জানিয়েছেন, তিনি প্রতিটি বিধানসভাভিত্তিক ২ জন করে কংগ্রেস নেতৃত্বের নাম ও ফোন নং দিয়ে এসেছেন সিপিএম নেতাদের কাছে। আর সিপিএম নেতৃত্বকে তিনি সাফ জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতা কর্মীদের যোগ্য সম্মান দিতে হবে জোটের স্বার্থেই।
অন্যদিকে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কংগ্রেস কর্মীরা দাবি করেন, সিপিএমের কোনও মিছিল মিটিংয়েই তাঁদের ডাকা হচ্ছে না। এমনকি দেওয়াল লিখনেও কংগ্রেস জোটের কথা উল্লেখ করা হয়নি। যদিও এব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন দাবি করেন, প্রথম দিকে এরকম কিছু ঘটে থাকলেও এখন প্রতিটি প্রচার মিছিলেই কংগ্রেস কর্মীদের ডাকা হচ্ছে। তাঁরা থাকছেনও। প্রতিদিনই প্রার্থীদের প্রচারের কর্মসূচি কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাছে বারবার বিশেষ করে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে কংগ্রেস প্রার্থী চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। ফলে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে একটা হতাশা আছেই। তবে সেটা কাটানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা জোটের স্বার্থে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি আলোচনা করে আসার পর যে সমস্ত জায়গায় দেওয়াল লিখনে কংগ্রেসের নাম নেই, সেগুলিতে কংগ্রেসের নাম লেখা হচ্ছে বলে তাঁরা খবর পাচ্ছেন।
অন্যদিকে, অভিযোগ, সিপিএমের জেলা সম্পাদকের এই বক্তব্যের মাঝেই রবিবার বর্ধমান কাঞ্চননগর এলাকায় বর্ধমান দুর্গাপুর আসনের সিপিএম তথা জোটের প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালকে নিয়ে প্রচার মিছিল করা হলেও, সেই মিছিলে দেখা মেলেনি কংগ্রেসের কোনও পতাকা।