আইএসএলে টানা দুটি জয়ের ইতিহাসের পরই বিশেষ আবেদন ইস্টবেঙ্গলের !

গত ম্যাচে কার্ড সমস্যায় বেঞ্চে ছিলেন না হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর মন্তব্য ভোলেননি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ বলেছিলেন, এখন তাঁদের কাছে প্রতিটি ম্যাচই ‘ফাইনাল’। প্লে-অফের দৌড়ে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। অ্যাওয়ে ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে লড়াই ছিল বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে। কার্লেস কুয়াদ্রাতের ‘প্রাক্তন’ দলের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সমতা ফেরায় বেঙ্গালুরু। তবে শেষ অবধি তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।

ঘরের মাঠে ম্যাচ। সমর্থকরা পাশে থাকলে প্লেয়ারদের তাগিদ আরও বাড়ে। ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে সেটাই হল। এ মরসুমে নানা চড়াই উতরাই সামলেছে লাল-হলুদ। গত মরসুমের তুলনায় সাফল্যের পরিমান বেশি। কলিঙ্গ সুপার কাপও জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে আইএসএলে ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছিল। টানা দু-ম্যাচ জিতে যেন সেই অস্বস্তি কিছুটা হলেও দূর করল ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে এই প্রথম টানা দুটি জয় লাল-হলুদের। আপাতত পয়েন্ট টেবলে ছ-নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। এখান থেকে প্রতিটা ম্যাচই নতুন আশার।

বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের ১৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। নাওরেম মহেশকে ফাউল করেন ফানাই। ১৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল সাউল ক্রেসপোর। ১-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় লাল-হলুদ। যদিও অস্বস্তি দ্বিতীয়ার্ধে। ৬০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান সুনীল ছেত্রী। প্লে-অফের লড়াই তাঁদেরও। হাল ছাড়েনি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে নিশু কুমারের সেন্টারে অনবদ্য গোল ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেন ক্লেটন সিলভার। পুরনো দলের বিরুদ্ধে মিস্টি জয়ে আনন্দে আত্মহারা ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।

অন্যদিকে, ১০ তারিখের ম্যাচ পিছনোর আবেদন জানাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। চেন্নায়িন আর নর্থ ইস্টের শেষ ম্যাচ যাতে একই দিনে এবং একই সময় শেষ হয়, এফএসডিএলের কাছে তার আবেদন করছে ইস্টবেঙ্গল। প্লে-অফের সম্ভাবনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। কোনও ভাবে যাতে ‘বঞ্চিত’ না হয় ইস্টবেঙ্গল, সে কারণেই এমন আবেদন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − 3 =