জুনিয়রদের ডার্বি: এ যেন পঁচাত্তরের স্মৃতি! ইস্টবেঙ্গলকে ৫ গোল দিল মোহনবাগান

সিনিয়র ফুটবলে এ মরসুমের মতো ডার্বি শেষ। ডুরান্ড কাপে দুটি ডার্বি হয়েছিল। লিগ পর্বে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফাইনালে তার বদলা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। কলিঙ্গ সুপার কাপে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে মরসুমের প্রথম ডার্বি ড্র হলেও ফিরতি বড় ম্যাচে ৩-১ গোলে জেতে মোহনবাগান। এ বার ছোটদের বড় ম্যাচেও মস্তানি বাগানের। কার্যত পচাত্তরের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন সুহেল ভাট, দীপেন্দু বিশ্বাসরা। ইস্টবেঙ্গলকে ৫ গোলের মালা পরাল মোহনবাগান।

চলছে রিলায়ান্স ফাউন্ডেশন ডেভেলোপমেন্ট লিগ। ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। একটা সময় মনে হয়েছিল, পঁচাত্তরের ফলেরই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে ছোটদের বড় ম্যাচে। সে বার আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এরপরও পাঁচ গোল হয়েছে। ২০০৯ সালে আই লিগে ইস্টবেঙ্গলকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়েছিল মোহনবাগান। তবে ৫-০ এর বদলা যে ৫-৩ হতে পারে না, এ নিয়ে ময়দানে এখনও দু-দলের সমর্থকদের মধ্যে লড়াই চলে। যুব লিগে অবশ্য ৫-০ জিততে পারতো মোহনবাগান।

ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলকে ৫-১ গোলে হারাল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। মোহনবাগানের হয়ে জোড়া গোল করেন সুহেল ভাট। এরপরই তাঁর ট্রেড মার্ক সেলিব্রেশন। ক্রিশ্চিয়ানোর রোনাল্ডোর ভক্ত সুহেল সিউউউউ সেলিব্রেশন করেন। এ ছাড়া শিবাজীত সিং, টাইসন, দীপেন্দু বিশ্বাস একটি করে গোল করেন। ৫-০ এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। স্কোরলাইনের বদলা হয়েই গেছিল। যদিও শেষ অবধি এই ফল ধরে রাখতে ব্যর্থ মোহনবাগান। শেষ মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন সিকে অমন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =