পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-১ এ এগিয়ে ছিল ভারত। নিয়মরক্ষার টেস্টেও দাপুটে জয় ভারতের। মাত্র আড়াই দিনই শেষ ধর্মশালা টেস্ট। চায়ের বিরতির আগেই ১৯৫ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। ইনিংস এবং ৬৪ রানে জয় ভারতের। হায়দরাবাদে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল ভারত। পরপর চার টেস্ট জিতে ৪-১ এ সিরিজ জিতল রোহিত অ্যান্ড কোম্পানি। বিরাট কোহলি, কেএল রাহুলের মতো ক্রিকেটারদের ছাড়াই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ জয়। যা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে ব়্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে আরও কিছুটা এগিয়ে দেবে ভারতকে। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই লড়লেন জো রুট। বাকিরা কেউ রান পায়নি। জনি বেয়ারস্টো শুরুটা ভাল করলেও সেই বাজবলই কাল হল। ৮৪ রান করে আউট হন রুট। নিজের ১০০তম টেস্টে মোট ৯ উইকেট শিকার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। প্রথম ইনিংসে চার, দ্বিতীয়তে পাঁচ। মূলত দুই স্পিনারের দাপটে ধর্মশালায় দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। কুলদীপ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণিতে পঞ্চম টেস্ট অনায়াসেই জিতল ভারত। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে ধস নামান কুলদীপ। তুলে নেন পাঁচ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই কাজটা সারেন অশ্বিন। আর ব্যাট করতেই নামতে হয়নি ভারতকে।
ধর্মশালায় টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। কিন্তু কুলদীপ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দাপটে মাত্র ২১৮ রানে শেষ হয়ে যায় স্টোকসদের ইনিংস। ১০ উইকেটই স্পিনারদের দখলে। পাঁচ উইকেট নেন কুলদীপ, চার শিকার অশ্বিনের। অন্য উইকেটটি নেন জাদেজা। যদিও শুরুটা খারাপ করেনি ইংল্যান্ড। প্রথম উইকেটে ৬৪ রান যোগ করেন বেন ডাকেট এবং জাক ক্রলি। ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। একমাত্র রান পান ক্রলি। ১০৮ বলে ৭৯ করে আউট হন। জো রুট (২৬), জনি বেয়ারস্টো (২৯), বেন ফোকস (২৪) শুরুটা ভাল করলেও বড় রান পায়নি। মাত্র ২১৮ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪৭৭ রান তোলে ভারত। রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিলের জোড়া শতরানে ভর করে ২৫৯ রানের লিড নেয় ভারত। টেস্টে নিজের ১২তম সেঞ্চুরি করেন ভারত অধিনায়ক। ৩টি ছয়, ১৩টি চারের সাহায্যে ১৬২ বলে ১০৩ রান করে আউট হন। অনবদ্য শুভমন গিলও। ১৫০ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলেন। সেখানে ছিল ৫টি ছয়, ১২টি চার। রান পান যশস্বীও। ৫৭ করেন ভারতের তরুণ ওপেনার। অভিষেক টেস্টে সফল দেবদত্ত পাডিক্কল। অর্ধশতরান পান বাঁ হাতি। ১টি ছয়, ১০টি চারের সাহায্যে ১০৩ বলে ৬৫ রান করেন। টেস্টে তৃতীয় শতরান তুলে নেন সরফরাজ খান। ৬০ বলে ৫৬ রানের মারমুখী ইনিংস খেলেন। শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন কুলদীপ (৩০) এবং বুমরা (২০)। বিশ্বের প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ৭০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড করেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৫ উইকেট নেন শোয়েব বশির। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড। অশ্বিনের ঘূর্ণিতে আত্মসমর্পণ স্টোকসদের। নিজের একশোতম টেস্টে ৭৭ রানে ৫ উইকেট নেন ভারতীয় স্পিনার। পঞ্চম টেস্টে মোট নয় উইকেট নেন অশ্বিন।