উপত্যকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হবে উন্নয়ন, কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে বার্তা মোদির

২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর  ৫ বছরে এই প্রথমবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বৃহস্পতিবার শ্রীনগর পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত জম্মু কাশ্মীর’ নামক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে ৬ হাজার ৪০০ কোটির মোট ৫৩টি প্রকল্পের ঘোষণা করেন। সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেন বেশ কয়েকজনের হাতে। তার পরে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদির মুখে শোনা যায় বিকশিত কাশ্মীরে উন্নয়নের বার্তা। তাঁর কথায়, ‘আজকে যেসমস্ত প্রকল্প উদ্বোধন হল সেগুলো কাশ্মীরের উন্নতি করবে। আর কাশ্মীরের বিকাশ মানেই ভারতের বিকাশ। এই কাশ্মীর দেখার জন্যই নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। কাশ্মীরিদের হাসিমুখ দেখলেই দেশের ১৪০ কোটি মানুষ খুশি থাকবেন।’

বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ একেবারে সমূলে উৎপাটন করতে চান মোদি। সেই জন্যই ঢালাও উন্নয়নের পথে হাঁটছে কেন্দ্র। উন্নয়ন হলে জনমানসে জঙ্গিদের প্রভাব কমবে, কর্মসংস্থান হলে কমবে সন্ত্রাসবাদও। সেই জন্যই লোকসভা নির্বাচনের আগে কাশ্মীরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ‘আপনাদের মন জিততে এসেছি। কারণ জম্মু-কাশ্মীর শুধু একটা এলাকা নয়। এটা ভারতের কপাল।’ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, কৃষকদের ক্ষমতায়ন, পর্যটনের সম্ভাবনা- সমস্ত কিছু নিয়েই আরও উন্নত কাশ্মীর গড়ে উঠবে আগামী দিনে।

উপত্যকায় গিয়ে এদিন কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অভিযোগ করলেন, অনুচ্ছেদ ৩৭০ নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর এবং দেশের মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে কংগ্রেস।

সভামঞ্চ থেকেই মোদি বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর নাম করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং দেশের মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে। কাশ্মীরের মানুষ এখন সত্যিটা বুঝতে পারছেন। তাঁরা বুঝতে পারছেন অনুচ্ছেদ ৩৭০-এ জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও উপকার হয়েছে না কি একটি পরিবার সেখান থেকে সুবিধা নিয়েছে।’ একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, ‘অনুচ্ছেদ ৩৭০ না থাকায় জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিভাবানেরা যোগ্য মর্যাদা পাচ্ছেন।’

প্রসঙ্গত অনুচ্ছেদ ৩৭০ অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীর যে বিশেষ মর্যাদা পেত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট তার বিলোপ ঘটায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের পর এই প্রথম শ্রীনগরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। গত লোকসভায় শ্রীনগর আসনটিতে জয়ী হয়েছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। এ বার সেই আসনটিকে পাখির চোখ করতে চাইছে বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =