অবশেষে স্বস্তি পেলেন সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস। তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানি করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগ খারিজ করলেন এআইএফএফ-এর ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ। কুশল দাসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে অসত্য এবং কাল্পনিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। গত ২৫ এপ্রিল কুশলের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন মিনার্ভা পঞ্জাবের প্রাক্তন মালিক রঞ্জিত বাজাজ। এআইএফএফ-এর ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ তদন্ত চালানোর পর জানিয়েছেন কুশল দাস সম্পূর্ণ নির্দোষ। ফেডারেশনের ইন্টারন্যাল কমিটির প্রিসাইডিং অফিসারদের তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন জাভেদ সিরাজ। এআইএফএফ-এর এজিএস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল বি এম আর মেহেতাকে ও তদন্তের স্বার্থে একগুচ্ছ প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছিলেন সিরাজ।
গোপন যে রিপোর্টটি সিরাজ জমা করেছেন, সেখানে কুশল দাসকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। এমনকি অতীতেও এই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠেনি বলে জানা গিয়েছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল বি এম আর মেহেতা এর আগে ২০১০-১১ মরশুম পর্যন্ত ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনিও জানিয়েছেন যে, তাঁর কর্মকালে কুশল দাসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাননি।
কুশল দাসকে ক্লিনচিট দেওয়ার আগে তদন্তের স্বার্থে ভারতীয় মহিলা দলের সিনিয়র ম্যানেজার শ্রীমতী ইন্দু চৌধুরী, লিগ সিইও সুনন্দ ধরদেরও একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগের ফাইনালের পর বেঙ্গালুরুর চান্সেরি হোটেলের কাছেই এক রেস্তোরাঁয় পার্টি হয়েছিল। সেখানে তাঁরা এমন কোন অভিযোগ পাননি। কিংবা শ্রীলতাহানীর কোনও ঘটনাও দেখেননি। এমনকি ইন্টারাল কমিটির প্রধান শান্তা গোপীনাথও, ফেডারেশনের সচিবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাননি বলেই জানিয়েছেন।
২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির একটি ঘটনাকে উল্লেখ করে কুশল দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন রঞ্জিত বাজাজ। তবে মিনার্ভা পঞ্জাবের ধোপে টিকল না। চুলচেরা তদন্ত করে কুশল দাসকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিলেন ফেডারেশিনের ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ।