মালদা: হঠাৎ করে আধার কার্ড বাতিল করার একটি চিঠি পৌঁছল মালদার এক গৃহস্থের পরিবারের কাছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হবিবপুর ব্লকের এই ঘটনায় জানাজানি হতেই বুধবার সকাল থেকে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে। এ নিয়ে নতুন করে এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী বকশিনগর খোট্টাপাড়া এলাকায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবারের তিন সদস্যের কাছেই আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসে পৌঁছেছে। আর তাতেই দুশ্চিন্তার কালমেঘ ঘনিয়ে এসেছে ওই পরিবারে । এই অবস্থায় তারা কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না।
ওই পরিবারের এক সদস্য পাপাই পাল জানিয়েছেন, ওই চিঠির বয়ানে লেখা রয়েছে উপযুক্ত নথি না থাকায় আধার কার্ড ‘ডিঅ্যাক্টিভেট’ করা হয়েছে। আমাদের রেশন কার্ড, প্যান কার্ড ব্যাংকের বই সব রয়েছে। আধারের সঙ্গে প্যানকার্ড লিঙ্ক করেছি। তখনো কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করে কী ঘটল, বুঝতে পারছি না। রীতিমতো ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড সব রয়েছে আমাদের। কিন্তু কেন হঠাৎ করে এই চিঠি আসল তা নিয়ে চিন্তায় ভেঙে পড়েছে ওই পরিবার।
এদিকে এই আধার কার্ডের চিঠি হাতে পাওয়াতে চরম আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন বকশিনগর খোট্টাপাড়া এলাকার পাল পরিবার।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের মোদি সরকারের এনআরসি’র বিল লাগু যাতে না করা হয় সে ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তারপরেও হঠাৎ করে মালদার হবিবপুরে এরকম আধার কার্ড বাতিলের চিঠি আসায় এখন বিভিন্ন পরিবারের মধ্যেও নতুন করে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে।
বকশিনগর খোট্টাপাড়া এলাকার পাল পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ডাকযোগে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতেই আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।
আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল দলের প্রাক্তন সদস্য অমৃত হালদার বলেন, কেন এভাবে আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট হয়েছে বুঝতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রয়েছে ওই পরিবারটি। এমনকী তাঁদের রেশন, ব্যাঙ্কের লেনদেন-সহ আধার নির্ভর কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছি। তৃণমূল- ওই পরিবারটির পাশে রয়েছে।