রোহিত-জাদেজার জোড়া শতরান, অভিষেকে নজর কাড়লেন সরফরাজ

৩৩ রানে ৩ উইকেট থেকে ৫ উইকেটে ৩২৬। রোহিত শর্মা এবং রবীন্দ্র জাদেজার শতরানে রাজকোট টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভাল জায়গায় ভারত। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে লড়াইয়ে ফেরালেন অধিনায়ক। ঠিক এক বছর পর টেস্টে শতরান পেলেন। লাল বলের ক্রিকেটে মোট ১১টি একশো। অন্য প্রান্তে শতরান করেন রবীন্দ্র জাদেজাও। চোট সরিয়ে দলে ফিরেই ঘরের মাঠে ১১০ রানে অপরাজিত ভারতীয় অলরাউন্ডার। একশোয় পৌঁছতে ২১২ বল নেন। ইনিংসে রয়েছে ২টি ছয়, ৯টি চার। অন্যদিকে ১৫৭ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান রোহিত। শেষপর্যন্ত ১৯৬ বলে ১৩১ রান করে আউট হন ভারতের নেতা। তাতে রয়েছে ৩টি ছয়, ১৪টি চার। টি-২০ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরই উদ্দীপ্ত রোহিত। অভিষেকেই নজর কাড়লেন সরফরাজ খান। গত চার বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে শাসন করার পর এদিন ইংল্যান্ডের স্পিন আক্রমণকে ভোঁতা করে দেন তিনি। দ্রুত রান তোলেন। একেবারে একদিনের মেজাজে পাওয়া যায় সরফরাজকে। দুর্ভাগ্যবশত ৬৬ বলে ৬২ রান করে রানআউট হন। তবে তাঁর এই ভয়ডরহীন ইনিংস নজর কাড়বে। বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ১টি ছয়, ৯টি চার।

সিরিজ ১-১ অবস্থায় থাকাকালীন তৃতীয় টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিং নেন রোহিত। শুরুতেই বিপর্যয়। প্রথম দুটো টেস্টে শতরান করা যশস্বী জয়েসওয়াল এবং শুভমন গিল ব্যর্থ। তরুণ বাঁ হাতি ওপেনার ফেরেন ১০ রানে। খাতাই খুলতে পারেননি গিল। শূন্যতে আউট হন। কেএল রাহুলের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া রজত পাটিদারও রান পায়নি। ৫ রানে ফেরেন। মাত্র ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানোয় সদ্য টেস্ট অভিষেক হওয়া সরফরাজ খানকে পাঠায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। ঘরের মাঠে নামানো হয় অভিজ্ঞ রবীন্দ্র জাদেজাকে। এই সিদ্ধান্তেই বাজিমাত। এতেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। চতুর্থ উইকেটে ২০৪ রান যোগ করে রোহিত-জাদেজা জুটি। শুরুতে যেমন বিধ্বংসী দেখিয়েছিল মার্ক উডদের, বেলা বাড়তেই সমস্ত কারিকুরি শেষ। প্রথম সেশনে ৩ উইকেট হারালেও দ্বিতীয়তে বিনা উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তোলে ভারত। দুই সেট ব্যাটারই শতরান করে। ব্যক্তিগত ২১ রানে একবার সুযোগ দিয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু স্লিপে ক্যাচ ফেলেন জো রুট। তার খেসারত দিতে হল। জাদেজার সঙ্গে মিলে দলকে শক্ত ভীতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন। রোহিত আউট হওয়ার পরও সমস্যায় পড়েনি ভারত। অভিষেক টেস্টে নেমেই স্বমহিমায় সরফরাজ খান। এই ইনিংসের প্রশংসা করতেই হবে। পুরো একদিনের মেজাজে খেলেন। স্পিনের বিরুদ্ধে সুইপ খেলে হার্টলি, রুটদের আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করে দেন। বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। জীবনের প্রথম টেস্টে ৪৮ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। ৬৬ বলে ৬২ রান করে রানআউট না হলে বড় ইনিংস খেলতে পারতেন সরফরাজ। প্রথম দিনের শেষে ১১০ রানে অপরাজিত জাদেজা। উল্টো দিকে রয়েছেন কুলদীপ যাদব। কাল নামবেন সদ্য অভিষেক হওয়া ধ্রুব জুড়েল। রানের পাহাড়ে পৌঁছতে জাদেজা-জুরেল জুটিই শেষ ভরসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 8 =