সৈয়দ মফিজুল হোদা, বাঁকুড়া
স্পাইডার ম্যান, ব্যাট ম্যান এবং অ্যান্ট ম্যানকে টিভির পর্দায় দেখেছেন সকলে। রিল নয় রিয়েল লাইফ সুপারহিরো বাঁকুড়ার ‘বি ম্যান’ অর্থাৎ মৌমাছি মানব সুখ মহম্মদ। বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের চিঙ্গনি গ্রামের বাসিন্দা সুখ মহম্মদ এক দশকের বেশি সময় ধরে ভেঙে আসছেন মৌমাছির চাক। বাঁকুড়া ছাড়াও গোটা রাজ্যে তিনি ‘বি ম্যান’ নামেই পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় হোক কিংবা বাড়ির সান সেটে, ভয়ানয় মৌমাছির চাক ভাঙতে দূর দূরান্ত থেকে ডাক আসে সুখ মহম্মদের। এখনও পর্যন্ত ৪৫০ বন মৌমাছির কামড় সহ্য করতে পারেন বলেই জানিয়েছেন সুখ মহম্মদ নিজেই।
একটি মৌমাছির কামড় লাগলেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যায়। মৌমাছির ভয়ে দূরে পালায় হাতি থেকে শুরু করে জঙ্গলের রাজা সিংহও। কিন্তু এই মৌমাছিকে যেন কোনও এক দৈব বলে বশ মানিয়ে রেখেছেন বাঁকুড়ার মধু প্রস্তুতকারক। মৌমাছি চাষ অর্থাৎ এপিকালচার কী ভাবে করতে হয় সেটা নিয়ে সাম্প্রতিক বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একটি বিশেষ পাঠ দিতে গিয়ে পেটের মধ্যে অসংখ্য মৌমাছি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন তিনি। আশপাশে ছাত্রছাত্রী ছাড়াও শিশুরা এই দৃশ্য দেখে উচ্ছ্বসিত হয়। সুখ মহম্মদ জানান, বাঁকুড়ার মূলত মেলে ইউক্যালিপটাস, পলাশ এবং তিলের মধু। যার মধ্যে ইউক্যালিপটাস মধুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
মৌমাছির ভূমিকা অপরিসীম এবং মৌমাছির কারণেই কৃষির উন্নয়ন হতে পারে বলে দাবি বাঁকুড়ার সুখ মহম্মদের। এছাড়াও বাঁকুড়ার মধুর গুণগত মান এবং ঘনত্ব সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলেই দাবি তাঁর। মৌমাছি এবং মধুর সঙ্গে এই যুদ্ধ এবং প্রেমই যেন সুখ মহম্মদকে বাঁকুড়ার মৌমাছি মানব বলে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে।