রঞ্জিতে কামব্যাক ম্যাচে ব্যাটে-বলে লড়লেন বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। তারপরও বাংলার রক্ষাকর্তা হতে পারলেন না। বাংলার অনুরাগীরা মনে প্রাণে চাইছিলেন অঘটন ঘটিয়ে কেরলকে হারিয়ে দিন অনুষ্টুপ-শাহবাজরা। তাঁদের অনেকটা লড়াইয়ের পরও হাসি ফুটল না বাংলা শিবিরে। শেষ অবধি সঞ্জু স্যামসনের কেরল বাংলার বিরুদ্ধে ১০৯ রানে জিতেছে। এরপর মনোজ তিওয়ারিদের নিয়মরক্ষার ম্যাচ রয়েছে বিহারের বিরুদ্ধে। সেখানে ৭ পয়েন্ট পেলেও বাংলার সুবিধে হবে না। এই ম্যাচ হারের পর চলতি রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত বাংলার।
কেরলের বিরুদ্ধে জিততে হলে চতুর্থ দিন বাংলার প্রয়োজন ছিল ৩৭২ রান। হাতে ছিল আট উইকেট। চতুর্থ দিন অভিমন্যু-অনুষ্টুপ জুটিতে ৩৬ রান তোলেন। এরপর অনুষ্টুপ মজুমদারের উইকেট তুলে নেন জলজ সাক্সেনা। অনুষ্টুপ ফিরলে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিমন্যু। দুই ইনিংসেই বাংলার হয়ে লড়াই করেন অভিমন্যু। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও জলজ তুলে নেন তাঁর উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে অভিমন্যু করেন ৬৫ রান। মনোজ-অভিমন্যুর জুটি যতক্ষণ ছিল বাংলার অনুরাগীদের মনে একটা আশা ছিল জয় আসতেও পারে। অভিমন্যুর মতো বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে দুটি ইনিংসেই আউট করেন জলজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ রান করে মাঠ ছাড়েন জলজ। শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মনোজ।
সপ্তম উইকেটে শাহবাজ আহমেদ ও করন লাল ১৩০ বলে ৮৩ রান যোগ করেন। এরপর বাসিল ফেরান করনকে। ৪০ রান করেন তিনি। শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে যান শাহবাজ। তাঁর শেষ উইকেটটি তুলে নেন বাসিল। ১০০ বলে ৮০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলার পর থামেন শাহবাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৯ রানে অল আউট হয় বাংলা। যার ফলে ১০৯ রানে জেতে কেরল। এই ম্যাচ ইনিংসে হারতেও পারত বাংলা। বড় লিড থাকার সত্ত্বেও বাংলাকে ফলো অন করাননি কেরল অধিনায়ক সঞ্জু। অবশ্য তাতে আর কোনও চাপ হল না। বোনাস পয়েন্ট না পেলেও হাসিমুখে মাঠ ছাড়লের সঞ্জু-জলজরা।