রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বড় চমক সাগরিকা ঘোষ

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁকে আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে। তৃণমূলের রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকার সবথেকে বড় চমক সাগরিকা ঘোষ। ১৯৯১ সাল থেকে ভারতীয় সংবাদ জগতের অন্যতম বড় নাম সাগরিকা ঘোষ। কাজ করেছেন ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’, ‘আউটলুক’ এবং ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’, সিএনএন-আইবিএন, বিবিসি ওয়ার্ল্ডের মতো নামী প্রতিষ্ঠানে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি, লেখক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত। তিনি, আরেক প্রখ্যাত সাংবাদিক রাজদীপ সারদেশাইয়ের স্ত্রীও বটে। এবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার প্রার্থী হলেন সাগরিকা।
রবিবার এই নির্বাচনের জন্য চার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেব, মহম্মদ নাদিমুল হক এবং মমতা বালা ঠাকুরকে রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিলই ছয় বছরের মেয়াদ ফুরোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার ৫ সাংসদের। সব মিলিয়ে দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভা আসন ফাঁকা হচ্ছে। এইসব শূন্যস্থান পূরণের জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে।
পশ্চিমবঙ্গের এই পাঁচ রাজ্যসভা আসনের মধ্যে চারটি ছিল তৃণমূল কগ্রেসের দখলে। এতদিন এই আসনগুলিতে ছিলেন মহম্মদ নাদিমুল হক, শুভাশিস চক্রবর্তী, আবির বিশ্বাস এবং শান্তনু সেন। অর্থাৎ, এবার শুধুমাত্র মহম্মদ নাদিনমুল হককেই ফের প্রার্থী করা হল। বাদ পড়লেন শুভাশিস চক্রবর্তী, আবির বিশ্বাস এবং শান্তনু সেন। অন্যদিকে, গত বছরই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মেয়াদ ফুরিয়েছিল সুস্মিতা দেবের। তাঁকে তখন প্রার্থী করা হয়নি। বদলে অন্যদের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এইবার ফের সুস্মিতা দেবকে ফের রাজ্যসভার প্রার্থী করা হল। তাঁর উপর অসমে দলের সংগঠনের দায়িত্ব রয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর বাবা সন্তোষমোহন দেবের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল ছিল। তৃণমূলের অপর তিন প্রার্থী, সুস্মিতা দেব, মহম্মদ নাদিমুল হক এবং মমতা বালা ঠাকুর। ২০১৫ সালের লোকসভা উপনির্বাচনে বনগাঁ আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হলেও, ২০১৯-এ বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ঠাকুরনগরের মতুয়া মহাসংঘের মমতাবালা ঠাকুর। এবার তাঁকে রাজ্য়সভার প্রার্থী করে পাঠাচ্ছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের দল।
বাংলা থেকে রাজ্যসভার অপর আসনটিতে, এর আগে, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভিকে সমর্থন করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বঙ্গ বিধানসভার বর্তমান শক্তি অনুযায়ী, অভিষেক মনু সিংভির ফাঁকা হওয়া আসনটি যেতে চলেছে বিজেপির দখলে। বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − seven =