অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়া টেনিস তারকা বরিস বেকারকে আড়াই বছরের জেল হেফাজতের রায় দিল আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ কোটিরও বেশি অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ। সেই অভিযোগের জন্য তাঁকে আড়াই বছর জেলে থাকতে হবে।
ব্রিটেনের নিয়ম অনুসারে এপ্রিল মাসের শুরুতেই চারটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় বরিসকে। যার মধ্যে ছিল দেউলিয়া ঘোষণার পরে তিনি তাঁর সম্পদ প্রকাশ করেননি। শুধু তাই নয়, অর্থ অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছিলেন। ৫৪ বছরের টেনিস কিংবদন্তি বেকার খেলোয়াড় জীবনে ছ’বার গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২০১৭ সালে তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, তিনি গোপনে প্রাক্তন স্ত্রীকে অর্থ দিয়েছিলেন। তাই লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের বিচারক ডেবোরাহ টেলর তাঁকে আড়াই বছর কারাদণ্ড দেওয়ার সাজা শোনান।
বিচারক বলেছেন, “উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আপনি কখনও আপনার অপরাধের জন্য অনুশোচনা করেননি। অপরাধ স্বীকারও করেননি। আপনার স্বভাবে কখনও নম্রতাও প্রকাশ পায়নি।” বিচারক আরও জানিয়েছেন, আড়াই বছরের মধ্যে অর্ধেক সময় কিংবদন্তি টেনিস তারকাকে জেলে বন্দি অবস্থাতেই থাকতে হবে। বাকিটা কাটাবেন লাইসেন্সে। এই সাজা ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বরিসের ছেলে নোয়া।
তাছাড়া ছিলেন বান্ধবী লিলিয়ান দে কার্ভালহো। বরিসের পরনে ছিল ধূসর রঙের ব্লেজারের সঙ্গে বেগুনি-সবুজ রঙের টাই। বান্ধবীর হাত ধরেই আদালতে পৌঁছেছিলেন বরিস। মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়ে টেনিস বিশ্বে আত্মপ্রকাশ ঘটে বেকারের। বিশ্বজুড়ে বহু টেনিস প্লেয়ারের অনুপ্রেরণা ছিলেন তিনি। কে জানত সেই বরিস বেকারের শেষ জীবনে ভাগ্যে জেল লেখা থাকবে! বেকারের এই পরিণতি অত্যন্ত দুঃখজনক বলেই মনে করছেন তাঁর অনুরাগীরা।