উত্তপ্ত উত্তরাখণ্ড। সরকারি জমি থেকে বেআইনি জবরদখলকারীদের উৎখাত অভিযানকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। ইতিমধ্যেই অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আহত অন্তত ২৫০ জন। গোটা শহরজুড়ে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। দাঙ্গাকারীদের দেখলেই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
পুলিশের দাবি, আদালতের নির্দেশে হলদোয়ানির বনভুলপুরা এলাকায় সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলে দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনামাফিক হামলা চালায়। হামলা হয় নিকটবর্তী পুলিশ ফাঁড়িতেও। সেখানে জ্বালানো হয় আগুন। বহু যানবাহনেও দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপরে স্থানীয় থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাস, মোটরবাইক। শুধু পুলিশ নয়, সরকারি আধিকারিক, সাংবাদিক সকলের দিকেই পাথর ছুড়তে থাকে বিশাল জনতা। সেখানে শামিল ছিলেন প্রচুর মহিলারাও। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতেই বিশেষ বাহিনী পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে গোটা হলদোয়ানিতে। অশান্তি যেন ছড়াতে না পারে সেই জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সমস্ত স্কুল এবং দোকান বন্ধ রাখা হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও গুলি চালায় বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। হলদোয়ানি জেলা পুলিশের সিনিয়র সুপার প্রহ্লাদ মীনা শুক্রবার বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ মেনেই উচ্ছেদ অভিযান সংগঠিত হয়েছে।’
হলদোয়ানির বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। শুক্রবারও তা বহাল রয়েছে। তারই মধ্যে জবরদখল উচ্ছেদের জন্য আনা হয়েছে বুলডোজার। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি শুক্রবার রাজ্যের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক এবং পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।