বুধবার হাওড়ায় প্রশাসনিক সভা থেকে জেলার একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসের সেই সভায় বত্তৃ«তার শুরতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জ্বর নিয়েই কথা বলছেন। এ দিন হাওড়া জেলা জুড়ে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করার পাশাপাশি তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে । তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলা এক নম্বরে ছিল বলেই টাকা বন্ধ করা হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের অভিযোগ করেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ দেওয়া নিয়ে বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। একশো দিনের কাজ, গ্রামীণ রাস্তা, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে এক নম্বরে ছিল বলেই বাংলার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
বলেন, ‘গরিব মানুষের জন্য যদি কিছু করতে পারি, তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করি । সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে, তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করি।’ একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে একশো দিনের কাজের ২১ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হয়েছেন সেই ২১ লক্ষকে মানুষকে তিনি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এর জন্য রাজ্য সরকারের হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আমলে হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে সেই প্রকল্পগুলি কীভাবে মানুষের উপকারে এসেছে, সেই নিয়ে বিস্তারিত বলেন। পাশাপাশি তিনি হাওড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, এক সময় হাওড়াকে প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার বলা হত। যদিও বাম আমলে এই জেলার পরিস্থিতি বেহাল হয়ে যায় । আবার তাঁর জমানায় হাওড়ার হাল ঠিক করা হয়। সভামঞ্চ থেকেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল সর্বময়ী নেত্রী বলেন, ‘আমার নাম আন্দোলন। আমার নাম সংগ্রাম। আমার জন্ম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আমার মৃত্যুও হবে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। ’ একই সঙ্গে আগামিদিনে বাংলার জন্য অনেক কিছুই করবেন বলে জানান। কিছুটা রহস্য রেখে তিনি বলেন, ‘‘আগামিদিনে কী কী করব, শুনলে চমকে যাবেন।’
অন্যদিকে সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের পাহারাদার। আমি জমিদার নই, জোতদার নই। সরকারি থাকি আপনাদের পাহারাদার হিসেবে।’