দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ বাজেটে কিছুটা হলেও হতাশ মধ্যবিত্ত। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেটে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে বড় কোনও ছাড় দিলেন না করদাতাদের। অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, আপাতত করকাঠামো অপরিবর্তিত থাকছে। তবে প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় সংস্কারে জোর দিয়ে একাধিক ঘোষণা করেন তিনি।
তাঁর ঘোষণা, ‘ভোটের বছর বলেই এ বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলাম না।’ যদিও এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে বেড়েছিল আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা। নির্মলা জানান, আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত যে কর কাঠামো বহাল রয়েছে, পরবর্তী বাজেট পর্যন্ত তার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হল। তিনি জানিয়েছেন, করদাতাদের পরিষেবা সহজ করতে ডিসপিউটেড ট্যাক্স বা ট্যাক্স বিবাদের ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১০ পর্যন্ত যাঁদের এই ডিসপিউটেড ট্যাক্সের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করে ছাড় দেওয়া হবে। ২০১০ সালের পরে ট্যাক্স বিবাদ থাকলে সেক্ষেত্রেও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। যা ১ কোটি করদাতাকে উপকৃত করবে।
চলতি বছরই লোকসভা ভোট। তাই এবারে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের সুযোগ পায়নি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এবারে ৩ মাসের জন্য ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ হয়েছে। তাই বড় ঘোষণার অবকাশ বিশেষ ছিল না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম দফায় ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ফায়দা তুলতে অন্তর্বর্তী বাজেটেও বেশ কিছু বড় ঘোষণা করে চমক দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটেও বড় অঙ্কে করছাড় দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রত্যাশা ছিল এবারেও করের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় ঘোষণা করা হতে পারে।
মধ্যবিত্তদের মন জয় করতে আয়করের সীমা বৃদ্ধি করে ১০ লক্ষ করা হতে পারে, এমন কথা শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। আবার ৮০সি-র আওতায় সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে যে ছাড় রয়েছে, তা বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ করার সম্ভাবনাও শোনা যাচ্ছিল। স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রেও আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়ানো হতে পারে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু কোনওটাই এদিন ঘোষণা করেননি নির্মলা। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আগের হারেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর দিতে হবে করদাতাদের। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত যে কর কাঠামো বহাল রয়েছে, পরবর্তী বাজেট পর্যন্ত তার সময়সীমা বাড়ানো হল। অর্থাৎ আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা আগের মতোই থাকছে ৭ লক্ষ টাকা।