জ্ঞানবাপীর সিল করা তহখানায় পুজোর অনুমতি আদালতের

জ্ঞানবাপী মসজিদের সিল করা তহখানায় হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিল আদালত। বুধবার বারাণসীর জেলা আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে পুজোর শুরুর ব্যবস্থা করতে বলেছে বারাণসীর জেলা প্রশাসনকে। এখন থেকে জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করতে পারবেন হিন্দুপক্ষ। বুধবার মসজিদের সিল করা বেসমেন্টে বা ‘ব্যাস কা তহখানা’ চত্বরে দেবতার উপাসনার অনুমতি দিল বারাণসীর আদালত। বুধবার শুনানির শুরুতেই জেলা প্রশাসনকে ভক্তদের পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে এর জন্য একজন পূজারিকে মনোনীত করতেও বলা হয়।

বারাণসী আদালতের নির্দেশ বেজায় খুশি হিন্দুপক্ষ। তাদের পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন বলেন, ‘ব্যাস কা তহখানা’ চত্বরে ভক্তদের উপাসনার অনুমতি দিয়েছে আদালত। সাত দিনের মধ্যে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে জেলা প্রশাসনকে। এখন থেকে সকলেই পুজো করার অধিকার পেলেন। বিষ্ণু শংকর এই নির্দেশের সঙ্গে ১৯৮৩ সালে রামমন্দিরের দরজা খোলার আদালতের নির্দেশের তুলনা করেছেন।

তহখানা হল মসজিদের নীচের ভূগর্ভস্থ ঘর বা পাতালঘর। জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে এমন চারটি তহখানা রয়েছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ দিকের তহখানাটিতে এখনও ব্যাস পরিবারের মালিকানাধীন। তাই তহখানাটির নাম ‘ব্যাস কি তহখানা’। আদালত হিন্দুপক্ষকে এই ‘ব্যাস কি তহখানা’তেই পুজো করার অনুমতি দিয়েছে।

যেহেতু ওই তহখানা ব্যাস পরিবারের অধীন, তাই তারা চেয়েছিল তহখানায় প্রবেশ করে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক তাদেরই পরিবারের সদস্যকে। আদালতের তরফে অবশ্য পুরোহিতের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে মসজিদ লাগোয়া কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের অছি পর্ষদকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − eight =