নিজস্ব প্রতিবেদন, লাউদোহা: দলের সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে তাঁর পদ ফিরিয়ে দিতে হবে দাবি তুলে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ ৩ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদের ইস্তফাপত্র লিখে পাণ্ডেবশ্বরের বিধায়কের হাতে তুলে দেন বলে দাবি।
দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে শতদীপ ঘটককে দায়িত্ব দেওয়া হয়, দলের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন সুজিত মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যরা। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়কে ব্লক সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করার পর প্রতিবাদে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের নিচুতলার বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি প্রতাপপুরের পঞ্চায়েত প্রধান ও বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা সভাপতির কাছে স্মারকলিপি দিলেন রবিবার।
এ বিষয়ে প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মাধব দে জানান, লোকসভা ভোটের মুখে কেন এমন সিদ্ধান্ত? তাঁদের নেতা তথা দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়কে তাঁর পদে ফিরিয়ে না আনলে লোকসভা ভোটের ফল এই এলাকায় অন্যরকম হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাশাপাশি সুজিত মুখোপাধ্যায়কে তাঁর ™দ ফিরিয়ে না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনও করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন মাধববাবু। অন্যদিকে প্রশ্ন তুলে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন খোদ দলের সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়। সুজিতবাবুর প্রশ্ন, তিনি জেলার নেতাদের কাছে জানতে চান ঠিক কী কারণে তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরানো হল আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে!
এই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য এদিন দাবি করেন, সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়কে যদি পুনর্বহাল না করা হয়, তা হলে তাঁরাও পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেবেন, সেই মর্মে নিজেদের ক্ষোভের কথা লিখিত ভাবে জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে জানিয়ে এসেছেন বলেও দাবি করেছেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘এগুলি সবই নাটক। যদি ইস্তফা দেওয়ারই থাকে, তা হলে সেটা ব্লক অফিসে দিতে হয় কোনও বিধায়ক বা জেলা সভাপতির কাছে নয়।’