বিলকিস বানোর গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জন অপরাধীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে রবিবারের মধ্যেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট । উল্লেখ্য, আত্মসমর্পণের জন্য বাড়তি সময় চেয়েছিলেন গুজরাত হিংসায় খুন ও গণধর্ষণকাণ্ডের অপরাধীরা। তাঁদের সেই আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
তিন অভিযুক্ত ধর্ষক গোবিন্দভাই, রমেশ চন্দনা এবং মিতেশ ভাট আত্মসমর্পণের জন্য বাড়তি সময় চাওয়া-সহ বিভিন্ন অজুহাত নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আর্জি দায়ের করেছিল। প্রথম জনের অজুহাত ছিল, তার মা-বাবা অসুস্থ। দেখাশোনা করার লোক নেই। তাই বাড়তি ৪-৬ সপ্তাহ সময় চায়। দ্বিতীয় জনের অজুহাত ছিল, তার ছেলের বিয়ে। আয়োজনের কন্য ৬ সপ্তাহ বাড়তি সময় লাগবে। তৃতীয়জনের অজুহাত ছিল, ফসল উৎপাদন করতে বাড়তি ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে।
শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, এই আবেদনগুলির মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা নেই। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলছে,’যে সব কারণ দেখিয়ে আত্মসমর্পণ পিছোনোর চেষ্টা করা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। শুধু এই কারণে কারও জেলযাত্রা আটকানো যায় না।’
গত ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ওই ১১ জন ধর্ষককে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত সরকার, তা এক্তিয়ার-বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ ছিল, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কারণ ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাত সরকারের। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় যে, খুন এবং ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকেই দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফিরে যেতে হবে। আত্মসমর্পণ করতে হবে ।