সোমবার ভোরে মকর সংক্রান্তিতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই গঙ্গাসাগরে পুণ্য-ডুব দিলেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। একে তো হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, তারওপর ঘন কুয়াশাকে সঙ্গী করেই শুরু হল সাগরসঙ্গমে পুণ্যস্নান। রবিবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে মাহেন্দ্রক্ষণ শুরুর পর মাঝরাত থেকেই শুরু হয় পবিত্র স্নান। চলবে আজ রাত ১২টা ১৩ পর্যন্ত। প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল পর্যন্ত ৬৫ লক্ষ পূণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে মেলায়। এত বিপুল ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
সোমবার সাগরে পুণ্যাস্নানের পাশাপাশি কপিল মুনির আশ্রমে সারাদিন ধরেই পুজো দেবেন পুণ্যার্থীরা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা। একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। আকাশপথে ও জলপথে চলছে নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, এনডিআরএফ, অসামরিক প্রতিরক্ষা ছাড়াও প্রস্তুত ভারতীয় নৌ বাহিনী। ড্রোন উড়িয়ে আশপাশে নজরদারির পাশাপাশি জলপথে স্পিড বোট ও হোভারক্রাফটে চড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌসেনা।
রাতে থেকেই সাগরতটে ছিল পুণ্যার্থীদের ভিড়। প্রদীপের আলো, ধূপ, ধুনোর গন্ধ আর শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনিতে ভরে ওঠে উপকূল। ভোর থেকে ঠাণ্ডার প্রকোপ কমলেও কুয়াশায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা গঙ্গাসাগর। কুয়াশার জেরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কুয়াশা কাটলে তবে পুনরায় পরিবহন ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।