রোহিতের প্রত্যাবর্তনে হতাশার ধাক্কা দ্বিতীয় ম্যাচেও জারি রইল। টানা দূ ম্যাচে শূন্য ভারত অধিনায়কের। ইন্দোরে গোল্ডেন ডাক। নজর ছিল ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরা বিরাট কোহলির ওপরও। তিনি অবশ্য ক্যামিও ইনিংস খেললেন। বড় ইনিংসের প্রত্যাশা থাকলেও হল না। বিরাট আউট হতেই গ্যালারি কিছুক্ষণের জন্য শান্ত। তবে যশস্বীর শুরুর ঝড় এবং শিবম দুবের টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জেতানো ইনিংস। হার্দিকের অভাব এক বিন্দুও টের পেতে দিচ্ছেন না শিবম। আফগানিস্তানের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য ১৬ ওভারের মধ্যেই পেরিয়ে গেল ভারত।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রত্যাশিত ভাবেই ফেরেন বিরাট কোহলি। আরও একটা পরিবর্তন হল। সিরিজ শুরুর আগের দিনই কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছিলেন রোহিতের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করবেন যশস্বী জয়সওয়াল। চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে ছিটকে গিয়েছিলেন যশস্বী। ইন্দোরে জোড়া পরিবর্তন হল। শুভমন গিল এবং তিলক ভার্মার পরিবর্তে যশস্বী জয়সওয়াল ও বিরাট কোহলি।
গত ম্যাচের তুলনায় অনবদ্য ব্যাটিং আফগানিস্তানের। ইব্রাহিম জাদরানের একটা চাল ভারতকে চাপে ফেলেছিল। গুলবদিন নায়েবকে তিনে নামানো হয়। সেই গুলবদিনই বড় রানের ভিত গড়ে দেয় আফগানিস্তানের। শেষ অবধি ভারতকে ১৭৩ রানের বড় লক্ষ্য দেয় তারা। ইন্দোরের ছোট মাঠে এই টার্গেট ভারতের মতো শক্তিশালী দলের কাছে কঠিন নয়। তবে শুরুতেই রোহিতের আউট ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলে। প্রথম বল ফেস করতে গিয়েই বড় শট খেলার চেষ্টা নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে রোহিতকে নিয়ে।
প্রত্যাবর্তন ম্যাচে যশস্বীর সঙ্গে হাফসেঞ্চুরির জুটি গড়েন বিরাট। বোলিংয়ে যেমন অক্ষর প্যাটেল, তেমনই ব্যাটিংয়ে ভারতের জয়ের মূল কারিগর দুই তরুণ ব্যাটার। যশস্বী জয়সওয়াল ফিরেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কেরিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি করলেন (৩৪ বলে ৬৮)। তাঁর হয়তো অস্বস্তি হতে পারে ম্যাচ ফিনিশ করে না আসতে পারার জন্য। শিবম দুবে অবশ্য গত ম্যাচের মতোই অনবদ্য। গত ম্যাচে ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন। এ দিন ৩২ বলে অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংস। ২৬ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় ভারতের।