সন্দেশখালিতে ইডির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৯দিন। এখনও পুলিশের হাতে এল না তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান।তবে এই ঘটনায় নতুন করে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আগেই এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম আলি হোসেন ঘরামি এবং সঞ্জয় মণ্ডল। মিনাখাঁর খড়িবেরিয়া থেকে আলি হোসেনকে এবং ন্যাজাট থেকে সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর টানা ৯ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা শাহজাহান। শাহজাহান কোথায় গেল, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই শাহজাহানকে গ্রেপ্তারির সদিচ্ছা নিয়েও পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে।
গত শুক্রবার রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে গিয়ে ‘শাহজাহান-অনুগামীদের’ বিক্ষোভের মুখে পড়েন আধিকারিকরা। আক্রান্ত হন। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। ওই দিন শাহজাহানের দেখা পায়নি ইডি।
যদিও ইডির দাবি, ঘটনার দিন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান বাড়িতেই ছিলেন। ইডি আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন ৮০০ থেকে ১০০০ লোক। সকলেই তৃণমূল নেতার অনুগামী। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও পাল্টা একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেই শাহজাহানের পাত্তা এখনও পায়নি পুলিশ বা ইডি।