দীর্ঘ ৮ বছর পর জাতীয় স্তরের কোনও প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন ত্রিপুরার মেয়ে দীপা কর্মকার। রিও অলিম্পিকে তাঁর প্রদুনোভা ভল্ট আজও মনে রয়েছে জিমন্যাস্টিক্স-প্রেমীদের। চোট, নির্বাসন সবকিছু ফেলে রেখে এগিয়ে চলেছেন অলিম্পিয়ান দীপা কর্মকার। নতুন বছরের শুরুটা জয় দিয়ে করলেন ত্রিপুরার আগরতলার মেয়ে দীপা কর্মকার। ওড়িশার ভুবনেশ্বরে বসেছে সিনিয়র ন্যাশানাল চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেখানেই পারফর্ম করলেন দীপা। বুধবার অল-অ্যারাউন্ডে তিনি সবার সেরা পারফর্ম করেছিলেন। আজ, বৃহস্পতিবার তিনি পেয়েছেন জোড়া রুপো। একটি, ব্যক্তিগত ভল্টে আর অপরটি আনইভেন বারে।
পুরনো কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর তত্ত্বাবধানে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী সিনিয়র জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ত্রিপুরার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করলেন দীপা কর্মকার। ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার ফলে দীর্ঘদিন জিমন্যস্টিক্স ফ্লোরে নামা হয়নি দীপার। এ বার তিনি ফিরলেন স্বমহিমায়। এবং জানিয়ে দিলেন তাঁর আগামী লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করা। চলতি বছরেই রয়েছে প্যারিস অলিম্পিক। তার আগে নির্বাচনী ট্রায়ালে অংশ নিতে হবে দীপাকে। সেখানে ভালো পারফর্ম করতে পারলে রিও অলিম্পিকে চতুর্থ হওয়া দীপা পেতে পারে পারেন প্যারিসের টিকিট।
ওড়িশায় হওয়া সিনিয়র ন্যাশানাল চ্যাম্পিয়নশিপে বুধবার ৪৯.৫৫ পয়েন্ট নিয়ে অল-অ্যারাউন্ড শেষ করেন দীপা। আজ, এই প্রতিযোগিতার তৃতীয় দিনে ব্যক্তিগত ভল্ট ও আনইভেন বারে রুপো পেয়েছেন দীপা কর্মকার। ভল্টে দীপার স্কোর ১২.৫৮৪। ১৩.০৬৭ স্কোর করে সোনা জিতেছেন রেলওয়েজের হয়ে নামা প্রণতি নায়েক। এই বিভাগে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন রেলওয়েজের হয়ে নামা প্রতিষ্ঠা সামন্ত। তাঁর স্কোর ১২.৩৫০। অন্যদিকে আনইভেন বারে সোনা জেতেন রেলওয়েজের হয়ে নামা প্রণতি দাস। তাঁর স্কোর ১০.৪৩৩। রুপো পাওয়া দীপার আনইভেন বারে স্কোর ১০.৩৩৩। এই বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ওড়িশার করিশ্মা। তাঁর স্কোর ১০.৩০০।