ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরপর টেস্ট জিতে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিল ভারতীয় দল। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের শুরুটা ভালো হল না। ২০২৫ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। ভারতে মেয়েদের ক্রিকেটে উন্নতি হলেও পূর্ণতা পাচ্ছে না। তার প্রধান কারণ আইসিসি ট্রফি। টি-টোয়েন্টি হোক বা ওডিআই। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠলেও ট্রফি জিততে পারেনি ভারত। মেয়েদের ক্রিকেটে আইসিসি টুর্নামেন্টে সাফল্য বলতে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়। আগামী ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই। শুরুতেই অবশ্য হোঁচট।
ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ট্র্যাক রেকর্ড ভালো নয় ভারতের। সদ্য টেস্ট জেতায় চাকা ঘুরবে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। প্রথম ম্যাচে হল না। এ মাসের শুরুতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল বাংলার বাঁ হাতি স্পিনার সাইকা ইসাকের। ২২ দিনের ব্যবধানে ওয়ান ডে আন্তর্জাতিকেও অভিষেক হল। অভিষেক ম্যাচে তাঁর ব্যক্তিগত এবং দলগত পারফরম্যান্স ভালো হল না। চোটের কারণে স্মৃতি মান্ধানার মতো তারকা ব্যাটারকে না পাওয়াটাও ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলল।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ৫৭ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে ভারত। এরপরও বোর্ডে বড় রান করে ভারতীয় দল। এর কারণ লোয়ার অর্ডারের অবদান। ওপেনার যস্তিকা ভাটিয়া ৪৯ রান করেন। ভারতীয় ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ভরসা দিলেন জেমাইমা রডরিগজ ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার পূজা বস্ত্রকার। এই জুটি বিধ্বংসী ব্যাটিং করে। জেমাইমা ৭৭ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিলেন পূজা। ৪৬ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮২ রান করে ভারত।
বোর্ডে বিশাল রানের লক্ষ্য। শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে অজিরা। ওভারের তৃতীয় বলেই অজি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ফেরান রেনুকা সিং। যদিও এই উইকেটের বাড়তি কৃতিত্ব দিতে হবে স্নেহ রানাকে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেন স্নেহ। ভারতীয় বোলাররা অবশ্য ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। ফোয়েবে লিচফিল্ড, এলিস পেরি এবং তাহিলা ম্যাকগ্রা তিনজনই হাফসেঞ্চুরি পেরোন। ৪২ রানের অবদান রাখেন বেথ মুনি। অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং অলরাউন্ডার তাহিলা ৫৫ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৬.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় অস্ট্রেলিয়া।