ব্যাটিংয়ে সূর্যকুমার যাদব, বোলিংয়ে রবীন্দ্র জাডেজা এবং কুলদীপ যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দুই অধিনায়কের অনবদ্য পারফরম্যান্সে সিরিজ অমীমাংসিত রাখল ভারত। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। বোলাররা গ্রিপ করতে পারছিলেন না। তার ওপর ডিএলএসে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট ও ওভার কমে। হতাশা থেকে ঘুরে দাঁড়াল ভারত। যশস্বী জয়সওয়ালের হাফসেঞ্চুরি, অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় ভারত। এরপর জাডেজা-কুলদীপের কামাল।
টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্কর্যাম। গত ম্যাচে বৃষ্টির কথা ভেবেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত। জোহানেসবার্গের পরিস্থিতি পুরো উল্টো। খটখটে পিচ। ব্যাটিং প্যারাডাইস। তেমনই স্পিনাররাও সুবিধা পেয়ে থাকেন। ম্যাচের আগে বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন স্পিনাররা সাহায্য পাবেন। দুই প্রোটিয়া স্পিনার শামসি ও মহারাজ নিয়েছিলেন তিন উইকেট। ভারতের স্পিনজুটির দাপট দেখা যাবে, এটাই তো স্বাভাবিক!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চতুর্থ সেঞ্চুরি করেন সূর্যকুমার যাদব। এ ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় ভারত। যদিও জো-বার্গের ব্য়াটিং পিচে এই স্কোর অসম্ভব ছিল না। প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে সেই শক্তিও রয়েছে। তবে ভারতীয় স্পিনারদের সামলানোর মতো দক্ষতার অভাব। শুরুটা করেন পেসাররাই। পাওয়ার প্লে-তেই দক্ষিণ আফ্রিকার তিন উইকেট নেয় ভারত। এর মধ্যে একটি রান আউট। বাকি দুটি উইকেট মুকেশ কুমার ও অর্শদীপ সিংয়ের।
ফিল্ডিংয়ে চোট পাওয়ায় পাওয়ার প্লে-তেই মাঠ ছাড়েন সূর্যকুমার যাদব। সহ-অধিনায়ক রবীন্দ্র জাডেজা দায়িত্বে। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আক্রমণে আসেন। প্রথম বলেই উইকেট নেন। এরপর একদিকে জাডেজা ও উল্টোদিকে কুলদীপ যাদব। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকে ভারত। মাঝে অস্বস্তি তৈরি করে ডিআরএস। প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে দীর্ঘ সময় ডিআরএস ছিল না। মিলার নিশ্চিত আউটের হাত থেকে বাঁচেন। প্রোটিয়া ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। জাডেজা-কুলদীপ স্পিন জুটি সাত উইকেট নেন। বার্থ ডে বয় কুলদীপের পাঁচ উইকেট। জন্মদিনে যেন নিজেকে সেরা উপহার, কুলদীপের ফাইফার! ১০৬ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ অমীমাংসিত ভারতের।