নিজস্ব প্রতিবেদন, বুদবুদ: পঞ্চয়েত প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় পঞ্চয়েত সদস্যার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গলসি ১ নম্বর ব্লকের মানকর এলাকায়। এই ঘটনার জেরে গলসিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বলে দাবি।
গত পঞ্চায়েতে মানকর গ্রাম পঞ্চয়েত দখল করে তৃণমূল। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর থেকেই প্রধান ডালিয়া লাহা ও উপপ্রধান তন্ময় ঘোষ বিভিন্ন কাজে স্বজনপোষণ করতেন। এই বিষয়ে মানকর পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ করেছিলেন মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মিলু মালিক মণ্ডল। যার কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানকর হাট তলায় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর দোকানে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী। দোকানে ঢুকে ওই পঞ্চয়েত সদস্যের স্বামী স্বরূপ মণ্ডলকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বুদবুদের মানকর অঞ্চলে। গুরুতর আহত অবস্থায় মানকর অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বরূপ মণ্ডলকে উদ্ধার করে মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মানকর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বরূপ মণ্ডলের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের নির্দেশে একদল দুষ্কৃতী তাঁর দোকানে গিয়ে চড়াও হয়ে তঁকে মারধর করে। তঁর অপরাধ তিনি ও তাঁর স্ত্রী প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের নানান দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তারই জেরে তাঁদের ও™র হামলা করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। যদিও তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
অপর দিকে বিজেপির বর্ধমান জেলা সম্পাদক কিষান কর্মকার দাবি করেন, শুধু মানকর নয় গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। বালি পাচার, কয়লা পাচার, গোরু পাচারের সঙ্গে পঞ্চায়েতে যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, তার কাটমনির ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই মানকরে দ্বন্দ্ব। পঞ্চয়েত সদস্যের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে বুদবুদ থানার পুলিশ।