উত্তরকাশীর শ্রমিকদের সঙ্গে ফোনে কথা প্রধানমন্ত্রীর

অবশেষে অবসান হয়েছে ১৭ দিনের প্রতীক্ষার। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ জন শ্রমিককে মঙ্গলবার রাতে একে একে উদ্ধার করলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র জওয়ানেরা। তাঁদের উদ্ধার করতে খোঁড়া ‘ইঁদুরের গর্ত’ দিয়েই উদ্ধার করা হয় সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের। জানা যাচ্ছে, সকলেই সুস্থ রয়েছেন। এদিকে শ্রমিকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

যত সময় কাটছিল এবং উদ্ধারকাজে বাধা আসছিল, ততই উৎকণ্ঠা বাড়ছিল উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে নিয়ে। অবশেষে ৪২২ ঘণ্টা পর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ওই শ্রমিকদের। উদ্ধারকারী দল, আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের মতোই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। মঙ্গলবার রাতে শ্রমিকদের উদ্ধারের খবর শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন তিনি। সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে শ্রমিকরা একটু স্থিতিশীল হতেই তাদের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। খোঁজ নেন তাঁদের শরীর-স্বাস্থ্যের।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মোদিকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রথমেই আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এমন সংকট কাটিয়ে উঠে আপনারা মুক্ত হয়েছেন! আমি কতটা আনন্দ পেয়েছি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। খারাপ কিছু হয়ে গেলে নিজেকে কী করে সামলাতাম বলা কঠিন। এটা কেদারনাথ বাবার কৃপা যে আপনারা সকলে ভালো রয়েছেন। ১৬-১৭ দিন সময়টা কম নয়। আপনারা দারুণ সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। একে অপরের সাহস বাড়িয়েছেন। সাধারণত এই ধরনের পরিস্থিতিতে রেলের কামরায় পর্যন্ত ঝগড়া লেগে যায়। কিন্তু আপনারা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। আমি নিয়মিত খোঁজ রাখতাম। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। খবর পেতাম, কিন্তু দুশ্চিন্তা দূর হত না।’

ও প্রান্ত থেকে শ্রমিকরাও বলেন, ‘আমরা ১৭ দিন বন্দি ছিলাম সুড়ঙ্গে, তবুও একা অনুভব হয়নি। কারণ আমরা ৪১ জন ছিলাম, অনেকেই ভিন রাজ্যের। সকলে ভাইয়ের মতো থাকতাম, খাবার ভাগ করে খেতাম। সুড়ঙ্গের ভিতরেই আমরা হাঁটাহাঁটি-যোগাসন করতাম। উত্তরাখণ্ড সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীকেও ধন্যবাদ। উনি নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসতেই উনি আমাদের জড়িয়ে ধরেন। ভি কে সিং-ও ছিলেন ওনার সঙ্গে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + thirteen =