অসুস্থ স্ত্রীকে ‘হত্যা’ করে আবাসন থেকে ‘মরণঝাঁপ’ বৃদ্ধের! অসহায়তার জেরেই কি মর্মান্তিক পরিণতি!

শহরের বুকে বয়স্ক দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর নোনাডাঙার বাল্মিকী আবাসনে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, অসুস্থ স্ত্রীকে হত্যা করে নিজে আবাসনের ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন বৃদ্ধ। মৃত্যু হয় ৭৭ বছরের অমূল্য সমাদ্দার ও বছর ¡াটের গীতা সমাদ্দারের। কলকাতার বুকে এই মৃত্যু ফের একবার প্রশ্ন তুলেছে। বয়সকালে অসহায়তার।
জানা গিয়েছে, আনন্দপুর নোনাডাঙার বাল্মিকী আবাসনে সোমবার রাতে ভারী কিছু পড়ার শধে ছুটে আসেন বাসিন্দারা। দেখেন পড়ে রয়েছে বৃদ্ধের দেহ। ঘরে খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে রয়েছে অসুস্থ স্ত্রীর দেহ। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। প্রাথমিকভাবে পুুলিশের অনুমান, অসুস্থ স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন বৃদ্ধ। তবে সমস্ত দিক মাথায় রেখেই তদন্ত করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ১০ বছর ধরে শয্যাশায়ী গীতা সম্মাদার। পক্ষাঘাতে পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, চিকিৎসার খরচ এবং অসুস্থতার কারণেই স্ত্রীকে খুন করে ওই বৃদ্ধ আত্মঘাতী হয়েছেন। ওই বৃদ্ধা-বৃদ্ধা ছাড়া ফ্ল্যাটে আর কেউ থাকতেন না। শুধু কি অসুস্থতা নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একইসঙ্গে বয়স হলে অসহায়তার ছবিও উঠে এসেছে। তবে কি অসহায়তার জেরেই এমন ঘটনা? এ প্রশ্ন সকলের মনেই।
বিগত দশকে ক্রমশই ছোট হয়েছে পরিবার। এক বা দু’জন সন্তান-সন্ততি থাকলেও কাজের সূত্রে অথবা বিবাহ সূত্রে তাঁরা অন্যত্র থাকতে বাধতে হন। অনকেরই ছেলে বা মেয়ে ভিন রাজ্যে চাকরি করেন। এই অবস্থায় অসুস্থ দম্পতিকে দেখাশোনা করার আপনজনের অভাব ক্রমশই বাড়ছে। একাকীত্ব গ্রাস করছে তাঁদের। মনোবিদরাও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + three =