টানা ৯ ম্যাচ জিতেই সেমিফাইনালে আত্মবিশ্বাসী ভারত

বিশ্বকাপের এক সংস্করণে ভারতের সর্বাধিক জয়ের রেকর্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সে বার যদিও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ভারত। তবে রেকর্ড গড়েছিল সে বার। বিশ্বকাপের এক সংস্করণে আটটি ম্যাচ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০ বছর পর রোহিতের নেতৃত্বে সেই রেকর্ড ভাঙল ভারত। সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকেও ১৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল ভারত।

বেঙ্গালুরুতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচে একাধিক রেকর্ড গড়ল ভারত। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। নজর ছিল, প্রথমে ব্য়াট করে কত বড় লক্ষ্য দেবে ভারত। শুরুটা দুর্দান্ত ভারতের ওপেনিং জুটির। রোহিত শর্মা-শুভমন গিল বিধ্বংসী ব্যাটিং করে। প্রতি ম্যাচেই এই চেষ্টা দেখা গিয়েছে। পরিস্থিতি যেমনই হোক, আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই মন রোহিতের। অধিনায়ক রোহিত ও শুভমন হাফসেঞ্চুরি করেন।

ইডেনে গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। ওডিআই সেঞ্চুরির সংখ্যায় ছুঁয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে। আইপিএলের সৌজন্যে বেঙ্গালুরু বিরাটের ‘ঘরের মাঠ’। আরও একটা সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বিরাট। হাফসেঞ্চুরির পরই ফেরেন বিরাট। তবে শ্রেয়স আইয়ার-লোকেশ রাহুল দু-জনেই সেঞ্চুরি করেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে বেশ কিছু ভালো ইনিংস খেললেও অবশেষে সেঞ্চুরি শ্রেয়সের। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১০ রান করে ভারত। বিশ্বকাপের মঞ্চে এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে মারমুডার বিরুদ্ধে ৪১৩ করেছিল ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =