পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ড

অসাধ্য সাধন করতে পারল না বাবর আজমের পাকিস্তান ক্রিকেটের নন্দনকাননে যখন টস হারল পাকিস্তান, তখনই কি নিউজিল্যান্ড শিবির সেলিব্রেশনে মেতেছিল? হতেই পারে। আর তেমনটা হলে অস্বাভাবিক কিছু তো নয়। কারণ, আজকের ম্যাচে অবশ্যই টস জিততে হত পাকিস্তানকে। হল তার উল্টো। বাবর আজম টস হেরে যেতেই অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সেমির স্বপ্নভঙ্গ হল। আর হলও সেটাই। ক্রিকেটের নন্দনকাননে টস জিতে প্রথমে ইংল্যান্ড ব্যাটিং বেছেছিল। তাতেই বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের সব আশায় জল ঢেলে দেয় ইংল্যান্ড। সামনে ছিল ৩৩৮ রানের টার্গেট। জিততে হলে ৩০০ বলের মধ্যে এই টার্গেট পূরণ করলেই হত। কিন্তু সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ৬.৪ ওভারে পাকিস্তানের জেতা। যা করতে পারল না গ্রিন আর্মি।

বাবর-রিজওয়ানরা ভালো মতোই জানতেন, এই লক্ষ্যে পৌঁছনো অসম্ভব। যে কারণে প্রথম থেকেই ইংল্যান্ডের বোলাররা চাপে ফেলতে থাকেন পাকিস্তানকে। রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারায় প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে। ডেভিড উইলি তুলে নেন আবদুল্লা শফিকের উইকেট। এরপর তৃতীয় ওভারে ফের পাকিস্তানের উইকেটের পতন হয়। দলগত ১০ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। যেখানে কিনা পাকিস্তানকে সেমিতে উঠতে হবে ৬.৪ ওভারে জিততে হত। কোনও মিরাকেল হল না। পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার আশা শেষ হতেই নিউজিল্যান্ড হয়ে যায় এ বারের বিশ্বকাপের চতুর্থ সেমিফাইনালিস্ট।

শুরুতেই জোড়া উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। তাঁদের ৫১ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন আটকিনসন। ৩৮ রান করে মাঠ ছাড়েন পাক নেতা বাবর। মাঠ ছাড়ার সময় বাবরের চোখে মুখে হতাশা ছিল স্পষ্ট। কারণ ততক্ষণে তো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে কলকাতা থেকেই দেশের বিমান ধরতে হবে পাক ক্রিকেটারদের। ৬.৪ ওভারে পাকিস্তান তোলে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান।

চতুর্থ উইকেটে মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাউদ শাকিল। এই জুটিতে ওঠে ৩৯ রান। ২৩ ওভারে রিজওয়ানকে বোল্ড করেন মইন আলি। ৩৬ রান করে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। এরপর সাউদ সাকিলকে (২৯) বোল্ড করেন রশিদ। মইন আলি ফেরান ইফতিকারকে (৩)। শাদাবের (৪) উইকেট নেন আদিল রশিদ। কেরিয়ারের শেষ ওডিআই ম্যাচ খেললেন ডেভিড উইলি। তিনি ফর্মে থাকা সলমন আঘাকে (৫১) ফিরিয়ে ওডিআইতে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। অবসরের ম্যাচে এমন প্রাপ্তি চওড়া হাসি ফোটায় উইলির মুখে। ২৫ রানের ইনিংস খেলে যান শাহিন শাহ আফ্রিদি। শেষের দিকে দশম উইকেটে হ্যারিস রউফ আর মহম্মদ ওয়াসিমের পার্টনারশিপ ছিল দেখার মতো। ৯ উইকেট হারানোর পর এই জুটিতে ওঠে ৫৩ রান। অবশেষে ২৪৪ রানে থামে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের জয় ৯৩ রানে। এ বারের মতো পাঁচ নম্বরে থেকে ম্যাচ শেষ করল পাকিস্তান। আর এই ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট পেল ইংল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − three =