ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় প্রায় ৭০ হাজার বয়স্ক মহিলা ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। সরকার নয়, তৃণমূল কংগ্রেস চাঁদা তুলে ৭০ হাজার মানুষকে সাহায্য করবে। লোকসভা ভোটের আগে মাস্টারßেT্রাক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভার ফলতার ফতেপুর হাইßুñলে বিজয়া সম্মেলনী ও বস্ত্রবিতরণের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই ঘোষণা করলেন সাংসদ অভিষেক। মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও বিজেপিকে একযোগে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে বারে বারে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করছে। ধর্নার সময়ও আমাকে সমন করা হয়। আবার দুর্গাপুজোর পর সমন করা হয়। ৬ হাজার পাতার নথি দিয়েছি। ২০২০ সালে আমি যে কথা বলেছিলাম, এখনও সেই কথা বলেছি। কয়লা কেলেঙ্কারিতে যেহেতু কিছু করা যায়নি বলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পরিবারকে জড়ানো হয়েছে। কুৎসা করা হয়েছে। কিন্তু আমি অন্য ধাতুকে গড়া। আমাকে দিয়ে জয়বাংলা ছাড়া অন্য কিছু বলানো যাবেনা। বিজেপির ডায়মন্ড হারবারে কোনও পার্টি অফিস পর্যন্ত নেই।’
অভিষেক আরও বলেন, ‘গত ৯ বছরে সাংসদ হিসেবে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে দিয়েছি। ২০১৭ সালে ১৪০০ কোটি টাকা জলপ্রকল্পের কাজ চলছে। ৫০০ কোটি দিয়ে ফেস টু চালু হয়েছে। রাস্তাশ্রী প্রকল্পে ১৭০টি ফলতায় করেছি। ৬০০ কোটি টাকার রাস্তা ৯ বছরে করেছি। কোভিডের সময় ২১টি কমিউনিটি কিচেন করে খাবার দিয়েছি লোকসভা এলাকায়। আমাদের প্রতিনিধিদের কোনও মূল্য নেই। মাথা নিচু করলে জনতা জনার্দনের কাছে করব। কিন্তু কোনও বহিরাগতর কাছা মাথা নত করব না। এটাই বস্ত্র বিতরণের শেষ অনুষ্ঠান। সামনের বছর থেকে আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেবে দলের কর্মীরা। জনপ্রতিনিধির কাজ জুমলা নয়। ধর্মে ধর্মে যারা বিভাজন করতে চায় তাঁদের চিহ্নিত করুন। আমি সবধর্মের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি। আমি যতদিন আছি ডায়মন্ড হারবারে ধর্মের বিভাজন করতে দেব না। বিজেপি অনেক চেষ্টা করেছে। ফলতায় সাম্প্রদায়িক হানাহানির চেষ্টা হয়েছে। কিন্ত আমি দাঁড়িয়ে থেকে তা রুখেছি।’
বহুল চর্চিত ডায়মন্ড হারবার মডেলের কথা স্মরণ করিয়ে অভিষেক বলেন, ‘এবার পয়লা জানুয়ারি থেকে ৭০ হাজার মহিলাকে আমরা ভাতা তুলে দেব সরকারি সাহায্য ছাড়া। এটাই ডায়মন্ড হারবার মডেল। ভোট ও কেন্দ্রীয় ২০১৯ সালে ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় তিন দফায় ভোট হয়েছে। কেন্দ্র হাজার চেষ্টা করলেও ভাতে মারতে পারবে না।’
সম্প্রতি, ডায়মন্ড হারবার থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আর যা নিজে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজ্যনীতিতে। সেই ইস্যুতেই এবার সাংসদ অভিষেক বলেন, ‘অনেকে ডায়মন্ড হারবার থেকে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। দাঁড়াক, এটাই গণতন্ত্র। এটাই গণতন্ত্রের রীতিনীতি। ইচ্ছে করলে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের নেতারা ইচ্ছে করলে দাঁড়াতে পারেন। এতো উড়ে যাবে ভোকাট্টা হয়ে যাবে। আমি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করতে দেব না। বড়ফুলের থেকে টাকা নেবেন, আর ছোট ফুলে ভোট দেবেন। ২০১৯ সালে সিপিএম সাম্প্রদায়িক তাস খেলেছে। বালিগঞ্জ থেকে প্রার্থী ধরে এনেছিল। বিজেপি দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে প্রার্থী এনেছিল। ৩ লক্ষ ২১ হাজারের ব্যবধান ৪ লক্ষ করতে হবে।’