যে বৃষ্টি সহায় বলে মনে হয়েছিল, সেই বৃষ্টির দেখাই মিলল না। বিশ্বকাপের শেষ চারের অঙ্ক ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া মিলিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান বাকি এই তিন টিমের মধ্যে কে পা রাখবে সেমিফাইনালে তার নানা হিসেব চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মনে হচ্ছিল পূর্বাভাস মেনে যদি বেঙ্গালুরুতে কয়েক পশলা ঢালতে পারে বৃষ্টি তা হলে কলকাতায় খানিক স্বস্তির হাওয়া আসতে পারে। বাইপাসের ধারে পাঁচতারা হোটেলে বসে পাকিস্তান টিম হয়তো তেতে যাবে। এ সব কিছুই হল না। লিগ টেবলের যা হাওয়া, তাতে নিউজিল্যান্ডই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল। প্রায় কেন? ক্রিকেট তো, তাই অঙ্ক থেকেই যায়। শনিবার ইডেনে যদি পাকিস্তান অসম্ভব কিছু না ঘটালে দেশে ফেরার বিমানই ধরতে হবে। এ বারও বিশ্বকাপ অধরা থেকে যাবে বাবর আজমদের। এই হিসেব যদি চলে, তা হলে ১৫ই নভেম্বর ওয়াংখেড়েতে রোহিত শর্মার টিম খেলবে কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে।
টস জিতে প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউয়ি নেতা কেন উইলিয়ামসন। পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি লঙ্কানরা। ৪৬.৪ ওভারে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ওপেনার কুশল পেরেরা (৫১) এবং মহেশ থিকশানা (৩৮*) ছাড়া সেই অর্থে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি বাকি লঙ্কানরা। ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসনদের সামনে ১৭১ রানের বেশি আর তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকা শ্রীলঙ্কা টিমকে কিছুটা টানার চেষ্টা করেন নয় নম্বরে নামা থিকশানা। কিন্তু তিনি জুটিই পাচ্ছিলেন না। শেষ অবধি দিলশান মধুশঙ্কার সঙ্গে জুটিতে ৪৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন থিকশানা।
যে টিমের ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন, রয়েছেন ডেভন কনওয়ের মতো ওপেনার সেই টিমের সামনে ১৭২ রান সেই অর্থে কোনও জটিল টার্গেট নয়। অবশ্য লঙ্কান বোলাররা শুরুতেই যে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তা নয়। কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর ৮৬ রানের ওপেনিং জুটি দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। এরপর ড্যারেল মিচেলের (৪৩) ক্যামিও কিউয়িদের জয়ের দিকে আরও এগিয়ে দেয়। অবশ্য মিচেল নিজের স্টাইলে ম্যাচ ফিনিশ করতে পারেননি। শেষ কাজটা করে যান গ্লেন ফিলিপস। ১০ বল খেলেন তিনি। তাতে ছিল ৩টি চার। ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস ফিলিপসের। কিউয়িদের তিন তারকা কনওয়ে (৪৫), রাচিন (৪২) ও মিচেল (৪৩) হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়া থেকে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তাতে অবশ্য দলের জয় আটকায়নি। ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে টার্গেট পূরণ করে ফেলে নিউজিল্যান্ড। যার ফলে নেট রানরেটেও ভালো জায়গায় পৌঁছেছেন উইলিয়ামসনরা। ৯ ম্যাচের ৫টি জয় ও ৪টিতে হেরে ১০ পয়েন্ট কিউয়িদের। এ বার শুধু সেমিফাইনালের টিকিট পাকাপাকি ভাবে পাওয়ার অপেক্ষা।