টানা পাঁচ হারের পর জয় ইংল্যান্ডের

সেমিফাইনালের স্বপ্ন আগেই শেষ হয়েছিল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কাছে এ বার লজ্জার টুর্নামেন্ট। হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। এরপরই একের পর এক ধাক্কা। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাসও তলানিতে ঠেকেছিল ইংল্যান্ডের। অবশেষে জয়ের মুখ দেখল তারা। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও প্রবল চাপে পড়েছিল ইংল্যান্ড। তবে বেন স্টোকস এবং ক্রিস ওকসের ব্যাটিং ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরায়। রান তাড়ায় নেদারল্যান্ডসের অতি আগ্রাসন। মাত্র ১৭৯ রানেই অলআউট ডাচরা। টানা পাঁচ হারের পর অবশেষে জয়। ১৬০ রানে নেদারল্যান্ডসকে হারাল ইংল্যান্ড।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ইংল্যান্ড শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে। ডেভিড মালান ৭৪ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। মাঝের ওভারে হঠাৎই বিপাকে ইংল্যান্ড শিবির। ১৩৩-১ স্কোর থেকে দ্রুতই ১৯২-৬ হয়ে যায় ইংল্যান্ড। বড় স্কোরের সম্ভাবনা ক্রমশ কমছিল। কিন্তু বেন স্টোকস তখনও ক্রিজে। সেটাই ভরসা। বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস বড় জুটি গড়েন। ৮৪ বলে ১০৮ রান স্টোকসের। অন্যদিকে, ৪৫ বলে ৫১ রানে ফেরেন ক্রিস ওকস। লোয়ার অর্ডারে তেমন অবদান নেই। নেদারল্যান্ডসকে ৩৪০ রানের বড় লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড।

আগের দিন ওয়াংখেড়েতে ম্যাক্সওয়েলের ম্যাজিক ইনিংস দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ডাচ ব্যাটাররাও তাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন কিনা, কঠিন প্রশ্ন। শুরু থেকেই অতি আগ্রাসী ব্যাটিং নেদারল্যান্ডসের। আর এতেই সমস্যায় পড়ে তারা। রানের গতি ভালো থাকলেও একের পর এক উইকেট হারাতে থাকেন। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ৩৮ রানে ফেরেন। সর্বাধিক স্কোর তেজা নিদামারুর। ৩৪ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩৭.২ ওভারে মাত্র ১৭৯ রানেই অলআউট নেদারল্যান্ডস। মইন আলি ও আদিল রশিদ তিনটি করে উইকেট নেন। ডেভিড উইলির ২ উইকেট। ক্রিস ওকস একটি উইকেট এবং একটি রান আউটও করেন। সে়ঞ্চুরির ইনিংসে ম্যাচের সেরা বেন স্টোকস।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 1 =