সরগরম নয়াদিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। নানা কারণেই রোমাঞ্চকর হয়ে উঠল এই ম্যাচ। গত কয়েক দিন চিন্তা ছিল ধোঁয়াশা নিয়ে। ম্যাচের দু-দিন আগে অনুশীলনের পরিকল্পনা থাকলেও দিল্লির দূষণে বাতিল করতে হয়। ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করলেও পুরো সময়টাই মাস্ক পরে ছিলেন। ম্যাচেও এর প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কাও ছিল। তবে ম্যাচে কোনও সমস্যা হয়নি। বরং রুদ্ধশ্বাস একটা লড়াই দেখা গেল। ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই প্রথম শ্রীলঙ্কাকে হারাল তারা। ভারতের পর বাংলাদেশের কাছে হার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জন নিয়ে চাপে পড়ল শ্রীলঙ্কা। তেমনই আশার আলো বাংলাদেশ শিবির।
দেরিতে হলেও জয় পেল বাংলাদেশ । সোমবার শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলার বাঘেরা। বিশ্বকাপ অভিযান আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কারও তাই। দ্বীপরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কাছে এদিনের ম্যাচটা ছিল সম্মানরক্ষার। সেই ম্যাচ জিতে নিল বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। চরিত আসালাঙ্কার (১০৮) সেঞ্চুরির সৌজন্যে দ্বীপরাষ্ট্র করে ২৭৯ রান।
আপাত নিরীহ একটা ম্যাচ নিয়েই শুরু হয়ে যায় জোর চর্চা। সৌজন্যে টাইমড আউট। এক বলও না খেলে প্যাভিলিয়নে যেতে হল শ্রীলঙ্কার বর্ষীয়ান ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ‘টাইমড আউট’ হলেন ম্যাথিউজ। শ্রীলঙ্কার রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে বাংলাদেশ উইকেট খোয়ালেও শাকিব ও শান্ত দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। দুজনের কেউই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। শাকিব ও শান্তর ১৬৯ রানের পার্টনারশিপ বাংলাদেশ শিবিরে এনে দেয় জয়ের গন্ধ। শান্ত করেন ৯০। অন্যদিকে শাকিব ৮২ রানে আউট হন। এই দুজন আউট হয়ে যাওয়ার পরে মুশফিকুর রহিম, মহম্মদুল্লাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের উইকেট হারালেও জিততে সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের।