সচিনকে ছুঁলেন বিরাট, ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুরমুশ করে হারাল ভারত

ইডেনে ভারতের ৩২৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮৩ রানে অল-আউট দক্ষিণ আফ্রিকা। যে ম্যাচকে এ বারের বিশ্বকাপের ‘ফাইনাল’ বলা হচ্ছিল, সেই ম্যাচটাই এক পেশে ভাবে জিতে নিলেন রোহিত শর্মারা। রবিবার ২৪৩ রানে জয় এল ইন্ডিয়ার বোলারদের হাত ধরে। ৩২৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন বিরাটেরা। বাকি কাজটা করেন রবীন্দ্র জাডেজারা। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা এলেন এবং সাজঘরে ফিরে গেলেন। এদিন প্রথমেই হোঁচট খায় প্রোটিয়ারা। আর এই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি তারা। নিয়মিত ব্যবধানে হারাতে থাকে উইকেট।

রবিবার ইডেনে পয়েন্ট টেবিলে থাকা এক এবং দুই নম্বর দলের মধ্যে লড়াইয়ের প্রথমটা বেশ ভালই করে টিম-ইন্ডিয়া। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত করল ৩২৬ রান। ৫ উইকেট হারিয়ে এই রান করে। আর এই ইনিংসে দলের সেরা বিরাট কোহলি। তাঁর ব্যাট থেকে আসে এক ঝকঝকে সেঞ্চুরি।

রবিবার ইডেনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ব্যর্থ হন। তিনি দ্রুত রান করতে গিয়ে উইকেট প্রায় ছুঁড়েই দিয়ে আসেন। এরপর শুভমান গিল করেন ২৩ রান। ১০ ওভারের মধ্যে দুটো উইকেট হারানোর পর চাপে পড়ে ভারতের ব্যাটিং। এখান থেকেই দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি। প্রথমে শ্রেয়স আইয়ার, এরপর কেএল রাহুল, সূর্যকুমার যাদব ও শেষে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে পার্টনারশিপে বেশ বড় রানের লক্ষ্য খাড়া করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে।

এদিন বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে এল বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি। ১২১ বলে ১০১ রান করে ইডেনে ৪৯ তম ওডিআই সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে এদিন ছিল ১০টা চার। তবে এদিন একটিও ছয় আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। বিরাট কোহলি ছাড়াও এদিন বড় রান পান শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ৮৭ বলে করেন ৭৭ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টা চার ও দুটো ছয়। বিরাটের সঙ্গে ফিনিশ করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১৫ বলে ২৯ রানের ফাস্ট ইনিংস খেলেন জাদেজা।

বল হাতে এদিন প্রথম দিক থেকে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি প্রোটিয়া বোলাররা। শুরুর দিকে অনেক রান দিয়ে বসেন। মার্কো জেনসেন থেকে তাবরেজ শামসিরা অতিরিক্ত রান দেন। চাপে যে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলররা তা তাদের একেকটা ওভার থেকেই স্পষ্ট। কয়েকটি ওভার হয় ১০ বলের। যা ভারতের বড় ইনিংস গড়তে সাহায্য করে।এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পান লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো জেনসেন, কাগিসো রাবাডা, কেশব মহারাজ, তাবরেজ শামসি। এইডেন মারক্রাম একমাত্র উইকেট পাননি। তবে এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম ধাক্কা হচ্ছে এনগিডির চোট। বল করার সময় চোট পান লুঙ্গি এনগিডি। তিনি ৮.২ ওভার বল করে মাঠ ছাড়েন। রবিবার ভারতের ব্যাটিংকে যদি সবথেকে বেশি বেগ দিয়ে থাকে কেউ তাঁরা হলেন কেশব মহারাজ ও তাবরেজ শামসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =