সচিনকে ছোঁয়া হল না কিং কোহলির

ঠিক কী বলা যায়! এই মুহূর্তের জন্যই যেন সেঞ্চুরিটা ‘তোলা রয়েছিল’। ‘ডেস্টিনি’ একেই বলে! কিন্তু শেষ মুহূর্তে আবারও এমন হবে! কে ভেবেছিল? সব কিছু ঠিক থাকলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই সেঞ্চুরি হতে পারত। পরিস্থিতি একেবারে হাতের মুঠোয় ছিল। চেজ মাস্টার তখন ৯৫ রানে। দলেরও চাই পাঁচ রান, তাঁরও। ধরমশালায় সকলেই প্রস্তুত বিরাটের সেঞ্চুরি এবং দলের জয় উদযাপনের জন্য। বিরাট শট মেরেছিলেন, শেষ মুহূর্ত ব্যাট ঘুরে গেল। ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন বিরাট। সমর্থক, ডাগআউট এবং বিরাট নিজে প্রবল হতাশ হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি বিরাট কোহলি। আর রেকর্ডের মুহূর্ত আসছিল তাঁর আইকনের সামনে। ৪৯ তম সেঞ্চুরিতে কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরকে ছুঁয়ে ফেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু দিলশান মধুশঙ্কার একটা স্লোয়ার….। একটা সময় ভারতীয় ক্রিকেট মানেই ছিল সচিন তেন্ডুলকর। মাস্টার ব্লাস্টার আউট হলে টেলিভিশন বন্ধ করে দিতে অনেকেই। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি এমন না হলেও অনেকটা। এক যুগ আগের পরিস্থিতিটাই মনে করুন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-শ্রীলঙ্কা। সচিন তেন্ডুলকর আউট হতেই ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে পিন পড়ার শব্দ শোনা যাবে। ঠিক তখনই মাঠে প্রবেশ বিরাট কোহলির। সচিনের আউটের হতাশায় কেউ নজরই দেননি। তখন ভারতীয় ক্রিকেটে ‘উঠতি’ তারকা বিরাট কোহলি। এক যুগে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। সচিনের পর ক্রিকেট প্রেমীদের ভরসা হয়ে উঠেছেন বিরাট কোহলি। ওয়াংখেড়েতে ম্যাচ শুরুর আগে এ দিন সচিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিরাট কোহলির। দুই কিংবদন্তির সাক্ষাৎ জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ক্রিকেট প্রেমীরা। বিরাট কোহলি যে ভাবে ব্য়াট করছিলেন, সকলেই ধরে নিয়েছিলেন সচিনের সামনেই কাঙ্খিত সেই রেকর্ড হয়ে যাবে। শুভমন গিল আউট হতেই কিছুটা ছন্দ পতন। স্লোয়ার বাউন্সারে আপারকাট মারার চেষ্টায় কটবিহাইন্ড শুভমন। এরপরই ড্রিঙ্কস ব্রেক এবং বিরাটের মনসংযোগেও যেন ব্যাঘাত। দিলশান মধুশঙ্কা স্লোয়ারে শর্ট এক্সট্রা কভারে ক্যাচে ফিরলেন বিরাট কোহলি। ঠিক যেমন সচিনের আউটে ১২ বছর আগে সাইলেন্ট হয়েছিল ওয়াংখেড়ে, বিরাটও সেঞ্চুরি থেকে ১২ রানের ব্যবধানে আউট হতে একইরকম নিস্তব্ধতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 8 =