পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় রাজ্যকে একহাত নিলেন অগ্নিমিত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদন, জামুড়িয়া: কেন্দ্রীয় সরকার রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ার ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ও রাজ্য সরকারের মাধ্যমে জামুড়িয়ার বিজয়নগর মোড়ে পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ ১২ বছর অতিবাহিত হলেও শেষ না হওয়ায় রাজ্য সরকারকে এবার একহাত নিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের দাবি, এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১২০০ কোটি টাকা প্রদান করেছে। প্রকল্পের অধীনে অনেক বাড়িও তৈরি করা হয়েছিল, পরে যে বাড়িগুলি তৈরি করা হয়েছিল তার মাঝখানে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাড়িগুলো থেকে জানালা ও দরজাও চুরি হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ কেন এই দায় নেবে না? কারণ আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে। তিনি স্পষ্ট জানান যে, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন এই রাজ্যে কোনও উন্নয়ন হবে না। আসন্ন শীতকালীন বিধানসভা অধিবেশনে এই বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।
বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এখনও একই অন্ধকারে। কেন এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং এর জেরে ঘরবাড়ি হারানো মানুষের হাতে কেন বাড়ি হস্তান্তর করা হয়নি এমন প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ। এ প্রসঙ্গে বর্তমান জেলা বামফ্রন্ট সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোজ দত্তর দাবি, ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এসেছিল, আজ ২০২৩ সাল এই প্রকল্পটি এই সরকার ১২ বছরেও শেষ করতে পারেনি। যার অর্থ এই সরকার চায় না এই প্রকল্পটি শেষ হোক।
তিনি আরও দাবি করেন, যে এই প্রকল্পের জন্য প্রাপ্ত অর্থ অন্যত্র ব্যয় করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ভূমিধস ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষদের পুনর্বাসন করতে চায় না। তাই ১২ বছর পরেও এই প্রকল্পটি এখনও শেষ হয়নি। ওই বাড়িগুলিতে মানুষ না আসায় ওই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিধানসভার সভাপতি বিশ্বনাথ বাউরির দাবি, পুনর্বাসনের জন্য তৈরি হওয়া বাড়িতে লোকজন এসেছে কি না বা ওই বাড়িগুলোর বর্তমান অবস্থা কী সে ব্যাপারে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। তিনি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেবেন। তিনি জানান, যেহেতু সেখানে লোকজন আসছে না, তাই সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায়নি। তবে কেন সেখানে লোকজন আসছে না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন এবং যা সমস্যা আছে তা সমাধান করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + 20 =