চরবৃত্তির অভিযোগে প্রাক্তন ৮ ভারতীয় নৌসেনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে কাতারের আদালত। এহেন বেনজির ঘটনা রুখতে অত্যন্ত তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। ওই সেনাদের মুক্তির জন্য সবরকমের চেষ্টা শুরু করেছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর দেখা করলেন প্রাক্তন সেনাদের পরিবারের সঙ্গে। জানালেন, এই বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে এই মুহূর্তে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। পাশে রয়েছে কেন্দ্র। সাজাপ্রাপ্তদের নিরাপত্তার সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা কর্মীদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? তাঁদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই ৮ জন এক বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। ওই সংস্থা কাতার সেনাকে প্রশিক্ষণ দিত। এঁদের মধ্যে কয়েকজন অত্যন্ত গোপনীয় কিছু ট্রেনিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর সেই সুযোগে চরবৃত্তি করতেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে গত ১ বছর ধরে কাতারের জেলে বন্দি এই ৮ প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা। আগেও একাধিক বার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে আদালতে। শেষমেশ বৃহস্পতিবার মামলার রায়ে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে আদালত।
খবর পেয়ে একেবারে স্তম্ভিত হয়ে যায় বিদেশমন্ত্রক। তখনই জানানো হয়, তাঁদের সুরক্ষায় সবরকম ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র। আর সোমবার সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন নৌসেনাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেও পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। পরে তিনি বিবৃতি দিয়ে জানান, সরকার এই বিষয়টিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থার কথা বুঝতে পারছি আমরা। তবে সরকার তাঁদের মুক্তির জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ সময়ে পরিবারকে খবরাখবর জানানো হবে।