চিন্নাস্বামীতে শ্রীলঙ্কার কাছে ব্যাটে-বলে কোনও বিভাগেই ছাপ ফেলতে পারল না ইংল্যান্ড। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছেছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। কিন্তু কোথায় ইংল্যান্ডের সেই আগ্রাসী ক্রিকেট? নির্ধারিত ৫০ ওভার অবধি টিকতেও পারেনি ইংল্যান্ড। ৩৩.২ ওভারে ১৫৬ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় জস বাটলারের দল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়া ইনিংসের মধ্যে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিল আজকের ম্যাচ। ১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে বেশি সময় নেয়নি শ্রীলঙ্কা ২৫.৪ ওভারে ১৬০ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
চলতি বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টিতে জিতেছেন জস বাটলাররা। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। এরপর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ জিতেছিল ইংলিশ ব্রিগেড। তারপর এক এক করে আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারল ইংল্যান্ড।
মাথিশা পাথিরানার চোটের কারণে জরুরি তলবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউস দলে ফিরেই চমকে দিলেন। শুরুতেই ডেভিড মালানের (২৮) উইকেট তুলে নেন ম্যাথেউস। তিনি পরে মইন আলিকেও (১৫) ফেরান। শুরুটা করেছিলেন ম্যাথেউস এরপর লাহিরু কুমারা, কাসুন রজিথারা এক এক করে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান। বেন স্টোকস করেন ৪৩ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান জনি বেয়ারস্টোর (৩০)। লঙ্কান বোলারদের সামনে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটেছে। শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন (৩টি) লাহিরু কুমারা। ২টি করে উইকেট কাসুন রজিথা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউসের। ১টি উইকেট নেন মহেশ থিকশানা।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপ থেকে ধরলে এই নিয়ে টানা পঞ্চম বার ইংল্যান্ডকে হারাল শ্রীলঙ্কা। চিন্নাস্বামীর ব্যাটিং সহায়ক পিচে ইংল্যান্ড দাগ কাটতে না পারলেও, ১৪৬ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় লঙ্কানরা। ১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে অবশ্য শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হয়নি। লঙ্কানদের প্রথম উইকেট পড়ে যায় ৯ রানে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় ২৩ রানে। ওপেনার কুশল পেরেরা ফেরেন ৪ রানে। আর অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ফেরেন ১১ রানে। এরপর অবশ্য আর শ্রীলঙ্কার উপর কোনও চাপই তৈরি করতে পারেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা। নিসঙ্কা এবং সমরবিক্রমার ১২২ বলে ১৩৭ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ দলকে জিতিয়ে দেয়। ৭৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন পাথুম নিশঙ্কা। এবং ৬৫ রানে নট আউট সাদিরা সমরবিক্রমা। এই ম্যাচ শ্রীলঙ্কা জেতায় সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকল। অন্যদিকে গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনালে ওঠা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।